কোচবিহার, ২৪ আগস্টঃ ‘এক দেড় মাসের মধ্যে গরু পাচারের সাথে যুক্ত কোচবিহারের বড় বড় নেতারাও জেলে যাবেন।’ আজ কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকে দুর্নীতি বাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে এমনই দাবি করলেন বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের সকলেই চোর, দুর্নীতিবাজ। আর তাঁদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতক্ষণ পর্যন্ত না জেলে যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এক দেড় মাসের মধ্যে দেখবেন কোচবিহারের বড় বড় নেতারা, যারা মুখে অনেক বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা জেলে ঢুকবেন।”
এদিন ওই স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে ছাড়াও বিরাজ বোস, অভিজিৎ রায় সহ বেশ কয়েকজন জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচী সফল করতে ব্যাপক জমায়েত করে মিছিল করে ধলুয়াবাড়িতে অবস্থিত কোচবিহার ১ নম্বর ব্লক অফিসে যায় বিজেপি কর্মীরা। পরে সেখান থেকে বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দফতরে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা কোচবিহার জেলা। এই সীমান্ত দিয়েও গরু পাচারের ঘটনা অহরহ হয়ে আসছে। মূলত মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা, মাথাভাঙার শীতলখুচি, দিনহাটার সিতাই, গীতালদহ, শালমারা, তুফানগঞ্জের বেশ কিছু সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রত্যেক বছর পাচার করতে গিয়ে সীমান্তে বিএসএফের হাতে প্রচুর সংখ্যায় গরু ধরাও পড়ে। এমনকি বিএসএফের গুলিতে পাচারকারীর মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত কোচবিহারের বিভিন্ন সীমান্তে হয়ে থাকে। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাই অভিযোগ করেছিলেন এই পাচার কান্ডের সাথে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের এক সময় হাত ছিল। কিন্তু এছারা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহারের কোন বড় মাপের নেতার বিরুদ্ধে গরু পচারের সাথে কোন ভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগ সেভাবে পাওয়া যায় নি। যদিও সূত্রের খবর কোচবিহারে গরু পাচার চক্রের সাথে কারা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের খুজতে সিবিআইয়ের একটি টিম ইতিমধ্যেই জেলায় এসে তদন্ত করছে। তাই হয়ত এদিন বিজেপি বিধায়ক গরু পাচারের প্রসঙ্গ টেনে কোচবিহারের বড় বড় তৃণমূল নেতারা জেলে যাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। যদিও এব্যাপারে তৃণমূলের কোন নেতা এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া দেয় নি।