খুব শীগ্রই কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের কাজ শুরু হতে চলছে।

0
384

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- খুব শীগ্রই কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের কাজ শুরু হতে চলছে।এর জন্য টেন্ডার হয়ে গিয়েছে ।যার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে ঊনাশি কোটি টাকা ।আজ কালিয়াগঞ্জ এর মারোয়ারী যুব মঞ্চের একটি সভায় যোগ দিতে এসে এমন মন্তব্য করেন কালিয়াগঞ্জ এর বিধায়ক সৌমেন রায়।
যদিও এই প্রসঙ্গে জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনাকে প্রশ্ন করলে তিনি এই প্রশ্নের কোন উত্তর দিলেন না। স্বভাবতই সাধারণ মানুষের মধ্যে আবারো প্রশ্ন থেকে গেল তাহলে কি এবারও বিধায়ক কালিয়াগঞ্জের মানুষকে হাসপাতালে টেন্ডারের গল্প শুনিয়ে বোকা বানাচ্ছেন ? সাধারণ মানুষের বক্তব্য এর আগেও কালিয়াগঞ্জ হাসপাতাল নিয়ে অনেক গল্পই শুনিয়েছিলেন বর্তমান বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়ক ।কিন্তু কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের হাল যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে। ছিটে ফোটাও কোন উন্নতি হয়নি এখনো অব্দি এই হাসপাতালে র।যদিও প্রতিবারই কোন না কোন ভোটের আগে এই ধরনের গল্প শোনা যায় যে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন খুব শীঘ্রই হতে চলছে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এর আগে কালিয়াগঞ্জে এসে ঘোষণা করেছিলেন কালিয়াগঞ্জে হাসপাতালের বেডের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ২৫০  হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা করার পরে বছরের পর বছর চলে গেলেও কোন হাল ই ফিরে নি কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের।আবারো দরজায় কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবারো হাসপাতাল নিয়ে শুরু হল নতুন গল্প। আজ যখন মারোয়ারি যুব মঞ্চের সভায় যখন হাসপাতাল নিয়ে কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক বললেন হাসপাতালের টেন্ডার হয়ে গিয়েছে।খুব শীঘ্রই তার কাজও শুরু হবে ।যার জন্য নাকি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ৭৯ কোটি টাকা। কিন্তু বিধায়কের এই মন্তব্যের পরে এই প্রতিবেদক জেলাশাসক তথা কালিয়াগঞ্জ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অরবিন্দ কুমার মীনাকে প্রশ্ন করলে তিনি এই বিষয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে আজ এড়িয়ে গেলেন। ফলে সম্ভবতই আবারো প্রশ্ন থেকে গেল বিধায়ক যে মন্তব্য এদিন করলেন সকলের সামনে তা কি আদৌ ঠিক কথা বললেন তিনি নাকি সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো হাসপাতাল নিয়ে নতুন মিথ্যা   গল্প শোনালেন। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তো কয়েক বছর আগে এই হাসপাতালের উন্নয়ন করার জন্য ঘোষণা করেছিলেন। তাহলে এখনো অব্দি কেন এই হাসপাতালের কোন ছিটে ফোটা উন্নয়ন হলো না। হাসপাতালের উন্নতি যদি হতো তাহলে এতদিন হয়েই যেত।  এত দেরি লাগছে কেন ?