দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গাঁজা কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত লক্ষ্মীনারায়ণপুর অঞ্চলের ঘাট গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা মোতাহার খান। উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাই তাঁর গ্রেপ্তারে খুশি তিনি। মোতাহার খান জানিয়েছেন, আমি ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস দলের সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু পাহাড়সম দুর্নীতির জন্য তিনি দলত্যাগ করেন। ২০১৭ সালে তৎকালীন বিজেপিতে থাকা মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর ২০১৮ সালে মুকুল রায় ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি বিশাল জনসভা করেন বক্রেশ্বরে। তারপর তাঁকে মিথ্যা মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও দুবরাজপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ভোলানাথ মিত্রের নির্দেশে দুটি গাঁজা কেস দেওয়া হয়। ফলে ৬ মাস জেলে ছিলেন তিনি। এমনকী পুলিশকে বাধা বা পুলিশকে মারার অভিযোগে তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেকে কেস দেওয়া হয়। পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুবরাজপুর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি ভোলানাথ মিত্রের নির্দেশেই লক্ষ্মীনারায়ণপুর অঞ্চলের নেতারা বক্রেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে গাঁজা এবং একটি রিভলবার রেখে আমাকে ফাঁসানো হয়। আসলে তাঁরাই এই গাঁজা বিক্রিতে জড়িত রয়েছেন। তাছাড়াও কয়েকমাস আগে শেওড়াকুড়িতে একটি জনসভায় অনুব্রত মণ্ডল ডেকে পাঠিয়েছিলেন এবং মঞ্চে ডেকে কানে কানে বলেছিলেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার গাঁজা কেসে ভরে দেব। তাই তখন থেকে আমি আর সক্রিয় ভাবে বিজেপিতে নেই। শুধুমাত্র একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে বিজেপিতে রয়েছি।