পরিত্যক্ত ঘর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে।

0
196

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- পরিত্যক্ত ঘর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদহের চাঁচলের কলিগ্রামে।খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে দেহ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে চাঁচল থানার পুলিশ।কেন এই আত্মহত্যা,তা নিয়ে ধন্ধে সবাই। এনিয়ে এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের না হলেও রহস্যের কিনারা করতে পুলিশি তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,মৃত দম্পতির নাম যোগেন রক্ষিত (৫২) ও সোনামনি রক্ষিত (৪৩)।যোগেনবাবু জমির ব্যবসা করতেন।তাঁরা নিঃসন্তান।কলিগ্রামে পৈতৃক পুরোনো বাড়িতে বসবাস করতেন তাঁরা।
শুক্রবার রাতে ওই বাড়িরই একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাঁদের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরা যোগেনবাবুদের আত্মীয়দের খবর দেন।খবর দেওয়া হয় চাঁচল থানাতেও।পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।দীর্ঘদিন ধরে দম্পতি ওই পরিত্যক্ত বাড়িতেই থাকতেন। প্রতিবেশীদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখতেন না তারা।

যোগেনবাবুর ভাইপো ছোটন রক্ষিত জানান, “কাকু-কাকিমা একাই থাকত।তাঁদের ছেলেমেয়ে নেই।কারো সঙ্গে সেভাবে মেলামেশাও করতেন না। কাকু জমির ব্যবসা করতেন।কাকিমা বাড়িতেই থাকতেন।রাতে তাঁদের প্রতিবেশীরা আমাদের এই খবর দেন।এসে দেখি,কাকু-কাকিমা দু’জনেই ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে।ব্যবসার জন্য বাজারে কোনো ঋণ ছিল কিনা জানা নেই। কাকু-কাকিমার মধ্যে কোনোদিন অশান্তির খবরও শোনা যায়নি। কেন এমন করল,কিছুই বুঝতে পারছি না।

চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে গতকাল রাতেই দেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশের তরফে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আজ দুটি মৃতদেহই ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল পাঠানো হয়েছে।