নদিয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা :-নদীয়ার ভীমপুর থানার অন্তগত জলকর মথুরাপুর গ্রামে ট্যাপ কলের জল খেয়ে অসুস্থ একাধিক ব্যক্তি এবং মৃত্যুবরণ করেছে এক বালক। জানা যায় শুক্রবার ক্যাপ কলের জল খেয়ে অসুস্থ বোধ করে জলকর মথুরাপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি । বেশ কয়েকদিন ধরে মৃত যুবকের অজানা জর এবং পাতলা পায়খানা শুর হয় প্রথমে পাশের গ্রামের চিকিৎসক কে দেখালে চিকিৎসক তাড়াতাড়ি হসপিটালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। চিকিৎসকের কথামতো হসপিটালে ভর্তি করা হয় শারিরীক অবস্থার অবনীতি হওয়ায় তাকে কল্যানী হসপিটালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। কল্যানী নিয়ে যাওয়ার সময় যুবকের মৃত্যু হয়।ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তার জল জাতীয় সমস্যার জন্যই মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু যুবকের নাম শুভদীপ হালদার পিতা দিলীপ হালদার বয়স আনুমা নিক বারো বছর। এই যুবকের মৃত্যুর পর আরো এগারো জন হসপিটালে ভর্তি আছে বলে জানা গেছে স্থানীয় সূএে। এলাকার মেডিকেল টিম এসে বিভিন্ন মানুষ কে শারিরীক পরীক্ষা করার পর তাদের কে ওয়ারেশ মেডিসিন দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে ভীমপুর থানার পুলিশ এলাকায় আসে এবং গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে এই পরিস্থিতি হলো তা তদন্ত করে জানবার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা। সূত্রের খবর অনুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত মোট ৭০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে এবং বাড়িতে অসুস্থ একাধিক ব্যক্তি। এই ঘটনার পর আশেপাশের এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। অন্য এলাকায় যেসব মানুষ ট্যাপ করে জল ব্যবহৃত করে জীবন যাপন করে তারাও আতঙ্কে রয়েছে যে তারা এই ট্যাপকলের জল খাবে কিনা। সব মিলিয়ে বলতে গেলেই আতঙ্কে দিন কাটছে জলকর মথুরাপুর গ্রামের মানুষের। কিন্তু আদৌ ট্যাপকলের জল খেয়ে বা অন্য কি কারনে ওই গ্রামের লোকজন অসুস্থ হচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে পুরোটাই ধোঁয়াশা। রবিবার সকালে মথুরাপুর এলাকায় এক মেডিকেল টিম বসে এবং সেখানে সাধারণ জনগণকে হেলথ চেকআপ করানো হয়। যাদের অসুস্থ বোধ মনে হয় তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ওআরএস ও দিয়ে থাকেন হেলথ কর্মীবৃন্দ।