নিম্নমানের পোষাক দেওয়ার ওভিযোগ কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেহালু পাড়ার দক্ষিণ আখানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ।

0
166

উঃ দিনাজপুর, রাধারানী হালদারঃ- বিদ্যালয়ে পোশাক দিতে হয় তাই সরকার থেকে দিচ্ছে ।এই পোশাকের কাপড় অত্যন্ত নিম্নমানের। নেই কোন মাপ যোগ।যেমন তেমন করে বিদ্যালয় দুই সেট করে পাঠিয়ে দিয়েছে কালিয়াগঞ্জ পৌর সভার পক্ষ থেকে।শক্রবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নেহালু পাড়ার দক্ষিণ আখানগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গৌতম ভদ্র বলেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে প্রচন্ড খুব লক্ষ্য করা যায়। সেই কারণে তিনি অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে আসবার জন্য অনুরোধ করলে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে পরিষ্কার ভাষায় বলেন সরকারি পয়সায় ছাত্র-ছাত্রীদের জামা দিলে জামা যাতে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে পারে সেই ভাবেই দিতে হবে। এমন সমস্ত জামা বিদ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে যেগুলোর কাপড় অত্যন্ত নিম্নমানের এবং শুধু তাই নয় জামার কোন মাপ বলে কিছু নেই প্রতিটি জামার মাপ একই রকম। তাদের বক্তব্য এ কোন জামা দেওয়া হচ্ছে। যে জাপা পড়তে পারবেনা সেই জানা আমরা কেও নেবনা। না আছে ভালো অবস্থিত দেওয়ার পরে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কোনোভাবেই পোশাক নেবেনা বলে সিদ্ধান্ত নিল। দক্ষিণ আখানগর প্রাথমিক বিদ্যাল্যের সম্পাদক তথা ১০নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার গৌরাঙ্গ দাস বলেন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক দেবার নামে এসব কি হচ্ছে? পোশাক যদি দিতেই হয় তাহলে প্রত্যেককে দুটো করে জামার পরিবর্তে একটি করে সেটের নগদ টাকা দিয়ে দেয়া হোক। ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা তা দোকান থেকে কাপড় কিনে সঠিক মাপে বানিয়ে নেবে। তা না করে পোশাক থেকে কমিশন খাবার জন্য যা খুশি তাই করা হচ্ছে। এটা কোনভাবেই আমরা মেনে নেব না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভদ্র বলেন অভিভাবকরা যা সিদ্ধান্ত নেবে বিদ্যালয় থেকে সেই সিদ্ধান্তের কথা আমি এসআই অফিসে পাঠিয়ে দেবো।