সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – সাপের কামড়ে মৃত্যু হলো এক ব্যক্তির। মৃতের নাম প্রতাপ মিস্ত্রী(৪৬)। ক্যানিং থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।জানাগিয়েছে বারুইপুর থানার অন্তর্গত চম্পাহাটীর হাড়ালের কমলপুর মিস্ত্রী পাড়ার বাসিন্দা প্রতাপ মিস্ত্রী। শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেল চালিয়ে চম্পাহাটী ষ্টেশনে যাচ্ছিলেন।রাতের অন্ধকারে চলন্ত সাইকেলে তার ডান পায়ের গোড়ালিতে বিষধর চন্দ্রবোড়া সাপে কামড় দেয়।সাইকেল থেকে পড়ে যান প্রতাপ বাবু। হাত পা কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। সাপে কামড় দিয়েছে ঠিক বুঝে উঠতে পারেন নি। আবারও সাইকেল চালিয়ে চম্পাহাটী স্টেশনে আসেন। সেখানে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে বসে চা খেয়ে গল্পগুজব করছিলেন। আচমকা মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি।বন্ধুবান্ধবরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়।হাসপাতালে যাওয়ার আগেই মাঝপথে প্রতাপ বাবু তার বন্ধু-বান্ধবদের কে ঈশারা করে জানায়,তাকে হয়তো সাপে কামড় দিয়েছে।বারুইপুর হাসপাতালে যাওয়ার পরিবর্তে গাড়ি ঘুরিয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সঙ্গীরা। বিধিবাম। মাঝপথে গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।সঙ্গীরা কি করবেন ভেবে উঠতে পারছিলেন না। অগত্যা কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য একটি অটো হাতের নাগালে পেয়ে যায়।অটোয় চেপে দ্রুততার সাথে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকরা দ্রুততার সাথে ৪৫ টি সাপে কামড়ানো প্রতিষেধক দেয়।
প্রতাপ বাবু অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার মুখ দিয়ে অনবরত রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে ।পরিস্থিতি ভালো নয় বুঝেই তাকে আইসিইউতে স্থান্তান্তরিত করেন চিকিৎসকরা।চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টা বিফলে যায়।রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকে কান্না ভেঙে পড়ে প্রতিবেশী সহ মৃতের স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা।
ঘটনার বিষয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সমরেন্দ্র নাথ রায় জানিয়েছেন ‘সাপে কামড় দিলে সময় টা বড়ই প্রয়োজন।একটুও সময় নষ্ট করা চলবে না।না হলে চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।সময় নষ্ট করলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। সাধারণ মানুষের জন্য বলবো,যখন যেখানে সাপে কামড় দিক না কেন, দ্রুততার সাথে নিকটবর্তী সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরী। তাহলে চিকিৎসার সুবিধা হবে।