আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে/স্মৃতি যেন আমার এ হৃদয়ে বেদনার রঙে
রঙে ছবি আঁকে”…. আমরা আমাদের জীবনের কত স্মৃতি পিছনে ফেলে রেখে এসেছি। সেই রকম একটি স্মৃতি হল স্কুল যাওয়ার আগে একসাথে পুকুরে স্নানের ঘাটে জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটা দৃশ্য। আমাদের জীবনে তখন নাগরিক সভ্যতার এত স্বাচ্ছন্দতা ছিল না কিন্তু ছিল সীমাহীন আনন্দ। এ যেন “কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা।”বর্তমান নাগরিক সভ্যতায় শিশুরা আজ মা-বাবার হাতে পরীক্ষার গিনিপিগ এ পরিণত হয়েছে। পিঠে মস্ত বড় বইয়ের বোঝা , সারাদিনে পাঁচ ছয় টা টিউশন আর স্কুল। এরা আকাশ দেখার সময় পায়না, প্রকৃতি দেখার সময় পায়না, সবুজ মাঠে খেলা করা বা খেলা দেখার সুযোগ পায় না আর পুকুর ঘাটে জল ছিটিয়ে সাঁতার কাটার সময়ও পায় না। শুধু দৌড়, দৌড়, দৌড়…. প্রতিযোগিতার দৌড়। এইভাবে তারা যন্ত্রে পরিণত হচ্ছে। বহুদিন বাদে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রামের পথে স্নানের ঘাটে জল ছিটিয়ে দুষ্টু – মিষ্টি শিশুদের জল ক্রীড়া দেখে মনটা আনন্দ আর আবেগে ভরে গেল। মন আবার শিশু হতে চাইলো। সত্যিই হারানো স্মৃতি যে ভোলা যায় না।।