ফ্লিপকার্ট এর উদ্যোগে ড্রোনের মাধ্যমে এবার প্রত্যন্ত জেলার বাসিন্দারা পেয়ে যাবেন জীবনদায়ী ওষুধ,বারুইপুর থেকে শুরু হয়েছে তারই মহড়া।

0
1670

সুভাষ চন্দ্র দাশ,বারুইপুর – প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ যা সচরাচর জেলার প্রত্যন্ত এলাকার ওষুধ দোকানে পাওয়াই যায় না। সেই সমস্ত ওষুধ কলকাতা কিংবা অন্যান্য ওয়ারহাউজ থেকে এবার সরাসরি ফ্লিপকার্টে অনলাইনে বুক করলেই পাওয়া যাবে।এবং অতি অল্প সময়ের মধ্যেই।সেটা সম্ভব হবে ড্রোনের মাধ্যমে। ড্রোন দিয়ে সেই জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছে দেবে ফ্লিপকার্ট।এমনই একটি পাইলট প্রজেক্ট নিয়েছে ফ্লিপকার্ট হেল্থ ও স্কাই এয়ার মবিলিটি কোম্পানি যৌথ উদ্যোগে।lমঙ্গলবার থেকেই তারই মহড়া শুরু হয়েছে ফ্লিপকার্টের বারুইপুরের ওয়ারহাউজ থেকে।আপাতত একটি শাখা থেকে ফ্লিপকার্ট অপর একটি শাখায় এই ওষুধ পৌঁছানোর কাজ চালানো হবে।সেই কারণেই অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তিকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে।সাধারণত ড্রোনের গতিবিধি চোখের সামনেই দেখা যায়।কিন্তু এই বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ড্রোন যা একেবারে দৃষ্টির অগোচরে দীর্ঘ কিলোমিটার দূরত্ব পাড়ি দিয়ে অল্প সময়ে পৌঁছে দিয়ে আসবে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী ওষুধ। ফ্লিপ কার্ড হেল্থ ও স্কাই এয়ার মবিলিটি সংস্থা আপাতত দৈনিক কুড়িটি ড্রোন এই কাজে ব্যবহার করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যা রাজ্যের মধ্যে এই প্রথম।এই মহড়া সফল হলেই এরপর থেকে সাধারণ মানুষ ফ্লিপকার্টে ওষুধ কেনার জন্য অনলাইনে বুক করলেই তারা সেই জীবনদায়ী ওষুধ পেয়ে যাবেন অতি অল্প সময়ের মধ্যেই। যা কলকাতা বা অন্য জায়গা থেকে সড়ক পথে নিয়ে আসতে অনেক সময় লেগে যায়। সেই কারণেই মঙ্গলবার বারুইপুরে ফ্লিপকার্টের বারুইপুরের ওয়ারহাউজ থেকে পাইলট প্রজেক্ট অনুযায়ী সড়কপথে ১৮৪ কিলোমিটার দূরে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাতঙ্গিনী ব্লক,যার আকাশপথের দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার। সেখানে একঘন্টার মধ্যেই ড্রোন মারফত জীবনদায়ী ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয় একেবারে নির্বিঘ্নেই।সাড়ে তিন কেজি ওজনের একটি বাক্সের মধ্যে এক কেজি ঔষধ দিয়ে ১০৪ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মাতঙ্গিনী ব্লক এলাকায় ফ্লিপকার্ট এর একটি শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ওই জীবনদায়ী ঔষধ।সড়কপথে সেখানে পাড়ি দিতে লেগে যাওয়ার কথা বেশ কয়েক ঘন্টা। ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তি দেশের তেলেঙ্গানা রাজ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন তা পশ্চিমবঙ্গের বারুইপুর থেকেই তার মহড়া শুরু হয়েছে।আগামী দিনে এই সুবিধা রাজ্যের মানুষ পাবেন। ৫ কেজি থেকে ২৫ কেজি,পরবর্তী পর্যায়ে ৫০ কেজি ওজনের ওষুধ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই সঙ্গে আকাশ পথে নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।