উত্তর দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ৫ ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিনে কালিয়াগঞ্জের সুনামধন্য পার্বতী সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিবসের মঞ্চেই ডিজে বাজিয়ে মেনোকা মাথায় দিলো ঘুমটা বাংলা গানে চুটুল নাচে আনন্দে মেতে উঠে যা সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে ইতিমধ্যেই।বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সেই নাচ সোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই নিন্দা ঝড় উঠে শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যেম।কিভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবসের মঞ্চে বাংলা নাচের গানে মেতে উঠলো পড়ুয়ারা। বুধবার বিদ্যালয়ে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করতে গেলে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে বিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।বিদ্যালয়ের গেটে তালা মেরে রেখে দেয় বিদ্যালয়ের তরফ থেকে।দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করলে এগিয়ে আসেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক কুন্ডু।তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক সহ বিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা কেউ নেই।তারা না আসা পর্যন্ত এই বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবে না আর বিদ্যালয়ে গেট খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নির্দেশে।ফলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা বাইরে থেকেই ঘুরে আস্তে হয়।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভিভাবক পরিমল গোস্মামী বলেন যদি শিক্ষক দিবসের দিনে এই ধরণের ঘটনা যদি ঘটে থাকে তা নিন্দনীয়।দিনের পর দিন এই বিদ্যালয়ে বেহাল দশায় পরিনত হচ্ছে।কি কারণে হচ্ছে জানা নেই।কিন্তু বিদ্যালয়কে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে।এবং আগামী দিনে যাতে বিদ্যালয়ে এই ঘটনা না ঘটে সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
অপরদিকে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলার রথীন্দ্রনাথ গুহ বলেন শিক্ষক দিবসের দিনে তাকে আমন্ত্রন করা হয় নি,বলে জানা নেই কিছুই।যদি এই ধরণের ঘটনা ঘটে থাকে তা একে বারে নিন্দনিয়।দিনের পর দিন বিদ্যালয়ের বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে।হেলদোল নেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে শুরু পরিচালন কমেটির।আরো অভিযোগ করে বলেন বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা আসে শিক্ষা লাভের আসায় কিন্তু বিদ্যালয়তে শ্রেনী কক্ষ থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নোংরা হয়ে থাকে।পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিস্কার করা হলেও বিদ্যালয় নিজ উদ্যোগ নেয়।আগামী দিনে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে তার দিকে নজর রাখতে হবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।তবে শিক্ষক দিবসের দিনে যে ঘটনা ঘটেছে তা একমাত্র দায়ভার বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে তাদের গাফিলতির কারণের এই ধরণের ঘটিয়েছে ছাত্ররা।এরফলে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে।