সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং- দীর্ঘ প্রায় দুবছর যাবৎ করোনা তান্ডব চালিয়েছিলো।করোনা কালে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সাথে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন সমগ্র পুলিশ প্রশাসন।এবার আসন্ন দুর্গাপুজোয় সেই ভূমিকায় দেখা যাবে পুলিশ প্রশাসন কে।পুজোর সময় ইভটিজিং,শব্দ দূষণ থেকে যে কোন রকম অসামাজিক কাজকর্ম রুখে দিতে প্রস্তুত ক্যানিং মহকুমা পুলিশ প্রশাসন।কড়া নজরদারীর জন্য ক্যানিং মহকুমা এলাকার প্রায় প্রতিটি পুজো মন্ডপে থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা,পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ,সাদা পোশাকের পুলিশ।এছাড়াও শব্দ দূষণ,প্লাস্টিক রুখতেও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে পুলিশ প্রশাসন সুত্রের খবর।অগ্নি সংযোগ রুখতে প্রস্তুত রাখা হবে দমকল কেও। এছাড়াও দুর্ঘটনা,যানজট রুখতে প্রস্তুত থাকবে ট্রাফিক পুলিশও। রাত দশটার পর কোন মন্ডপে যাতে করে বক্স কিংবা মাইক না বাজে সেবিষয়েও পুজো কর্তাদের কে আগাম সতর্ক করা হয়েছে ক্যানিং মহকুমা পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে।পুজো মন্ডপে কিংবা রাস্তায় যদি কোন ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন তার জন্য মেডিকেল টীম ও থাকছে।এছাড়াও পুজো কর্তারা তাঁদের মন্ডপে যাতে করে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে গুরুত্ব দেন তারজন্য বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য বিগত বছর গুলো ন্যায় চলতি বছর ক্যানিং মহকুমা এলাকায় পুজোর সংখ্যা বেড়েছে।ক্যানিং মহকুমা এলাকার ক্যানিং,জীবনতলা,বাসন্তী,গোসাবা,সুন্দরবন কোষ্টাল ও ঝড়খালি কোষ্টাল থানায় এলাকায় মোট পুজো হবে ৩৭২ টি। তার মধ্যে সবথেকে বেশি ১০৬ টি পুজো অনুষ্ঠিত হবে ক্যানিং থানা এলাকায়।জীবনতলা ও ঘুঁটিয়ারীশরীফ থানা এলাকায় মোট পুজো হবে ৯৩ টি।বাসন্তী থানা এলাকায় ৮০ টি। গোসাবায় ২৬ টি। সুন্দরবন কোষ্টাল থানা এলাকায় ৫৬ টি এবং ঝড়খালি কোষ্টাল থানা এলাকায় ১১ টি দুর্গাপূজো অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে পুজোর মরশুমে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের আনাগোনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। পর্যটকদের জন্য সুখবর,সুন্দরবন ভ্রমণের পাশাপাশি সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং মহকুমা এলাকায় ৩৭২ টি পুজো মন্ডপ ঘুরে প্রতিমা দর্শন তাঁদের কাছে বাড়তি পাওনা তা বলার অপেক্ষা রাখে না।