পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মা অসুর দলনী, কিন্তু অভাব নামক অসুরটিকে মারতে পারছেন কই। তাইতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার প্রতিমা শিল্পীরা এখন ভুখা পেটে দিন কাটাচ্ছেন এমনটাই বক্তব্য তাদের। মায়ের আগমনী বার্তা আকাশে বাতাসে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিমার বায়না নেই এগরা কসবা ১৩ নং ওয়ার্ডের মৃৎ শিল্পীদের। এই এলাকার একাধিক মানুষ প্রতিমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। প্রতিমা তৈরি করে চলে সংসার, বছরে এই সময়টাই তাদের ব্যস্ততা আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু এবারে অধিকাংশ গোলাই খালি। বায়না তেমনভাবে হয়নি। অতিমারি প্রভাব খাটিয়ে এবারে পূজো হচ্ছে বটে। কিন্তু কাঁচামালের দাম যে ভাবে বেড়েছে। সে ভাবে প্রতিমার দাম দিতে নারাজ পুজো কমিটি গুলো। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অর্ডার নেওয়া সম্ভব হয়নি। এই দুর্গাপূজার দিকেই তাকিয়ে থাকা বছরের বারোটা মাস। এই সময়ের আয়ে দিন গুজরাণ হয়। কিন্তু এই বছর আয়ের ভাঁড় শূন্য। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না এলাকার মিৎ শিল্পীদের। ব্যাংকের লোন চক্রবৃদ্ধি আরে বাড়তে থাকে। কর্মীদের বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। পরিবেশ সেজেছে শরতের আলোয়। এগরার এই মৃৎ শিল্পীদের জীবনে কেন বর্ষার কালো মেঘ। সরকার কবে মৃৎ শিল্পীদের দিকে মুখ তুলে তাকাবে। এই সম্বন্ধে মহিলা শিল্পী লক্ষ্মী রানা জানান যবে থেকে বিয়ে হয়েছে এই কাজের সঙ্গেই যুক্ত, তবে এই পর্যন্ত খুব ভালোভাবে না কাটলেও মোটামুটি ভাবে সংসার চালাতে পেরেছি কিন্তু বর্তমান সময়ে মূল্যবৃদ্ধির কারণে কার্যত দিশেহারা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে আমাদের, এই মত অবস্থায় সরকার যদি আমাদের উপর তাকাতো তাহলে হয়তো সমস্যা কিছুটা সমাধান হতো, না হলে এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।