চারিদিকে বাতাসে মৃত্যুর পরোয়ানা!
ফিসফিস আওয়াজ!
মৃত্যুর পদাঘাতে পাঁজর ভাঙা, শেষ পরিনতির আর্তনাদ!
মহা মৃত্যুর মিছিলে পচা গলা মৃতের.. দুর্গন্ধ গন্ধরাজ! পিশাচের অট্টহাসিতে–
জীবন্ত উৎসবের.. জীবন তোলপাড়।
ঠিক যেন ইতিহাসে আটকে পড়া, দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধের নাৎসিবাদের অথবা রুশ বিপ্লবের ঘটে যাওয়া ঘটনার, সেদিনের—
সেই স্মৃতি ছবি দেখি,আজকের তৃতীয়বিশ্বের– অত্যাধুনিক ব্লকবাস্টার অথবা সিনে কমপ্লেক্সে বসে।
বিশাল বিশাল সিক্স ডি স্কিনে ভেসে ওঠে, ফাঁকা পড়ে থাকা ধূ-ধূ করা..ধূসর অট্টালিকা।
রুমে রুমে পরিপাটি সাজানো, আরামের বিছানা।
আলমিরা ভরতি ঠাসা শখের পোশাক, বহু মূল্যবান হীরা জহরত,স্বর্ণ গহনা যতাত্মা শত মতি অতি।
বিলাসবহুল বাড়ির দলিল,ডি,পি,এস, এ,পি,এস!
লোভের অমর জীবনের হিসেবের সঞ্চয়পত্রের.. ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার গতি পতি।
আরো আছে —
এলিট শ্রেণীর কালোটাকার পাহাড় সম বান্ডিল… আঁটি আঁটি!
মৃত এলিট’এর দল আজ—
কলো কালো ভয়ঙ্কর এলিট পোকার রুপান্তর ছবি!
গরীবের পেটে লাথি?
থরে থরে সাজানো খাবার ভরতি টেবিলে আজ, তোলাপোকা মশা-মাছি ভীনেভীনে… গণসঙ্গীত গাহি।
ধনীর দুলালের আবদারের… রকমারি খেলনাপাতি।
আজ থেকে শখের খেলনার–
সকল অধিকারের নতুন অধিনায়ক… বঞ্চিত শিশু তুমি,অামি !
তাই সাম্যের গাই যত বঞ্চিত শিশু… তুমি, আমি আর শশিমুখী।
ড্রয়িং রুমে সব ফিটফাট, ঠিকঠাক সাজানো-গোছানো আছে যত.. ঝকঝকে তকতকে আয়নার ছবি।
বিলাসবহুলে বসবাসকারী–
শুধু আমি তুমি নেই সখা সখি!
সত্যি সত্যিই এবার বুঝি,
নিপীড়িতের সম বন্টনের দুঃখ জয়ের নবীন মন্ত্রের… সমবায়ের পৃথিবী গড়বেন “তিঁনি”!
এবার বুঝি,
খেঁটে খাওয়া মানুষের ” সুকান্তের ” শখের–
বাসযোগ্য পৃথিবী.. সাজবেন নতুন সাজে !
বাজবে জীবনের সানাই!
অন্ধকারের অন্ধ গলিতে জ্বলবে… জীবনের নিয়নবাতি!
এবার বুঝি–
বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের মিছিলের জোয়ারে, শ্লোগানে শ্লোগানে আকাশে বাতাসে ঘোষিত হবে, “প্রাসাদ নগর আমাদের গড়া, কর দখল তোরা! ভুঁকা ফাঁকা মানুষের দল,নিয়েছি নতুন শপথ! তোদের রক্ত রাঙিয়ে, এবার ফলাব সু- ফসল! প্রাসাদ নগর আমাদের গড়া,কর দখল তোরা”!
চলরে,, চল! চল”!
এবার বুঝি,
এঁদো ডোবার মানুষ পোকার দল.. মানুষ নামের পরিচয় ফিরে পাবে বল?
ইতিহাসের ঐতিহাসিক ইতিহাস রচিত হোক.. বঞ্চিত নতুনের ঘরে ঘরে।
তাই বুঝি স্বয়ং ইশ্বর” সকল হিসাবের খাতা নিয়ে বসেছেন,
সকল অসঙ্গতি মিটিয়ে, যোগফল মিলিয়ে দিতে!
দুইয়ে দুইয়ে যোগ হলে চার হয়!
বিয়গে মিলে গেলে শূন্য!
ভাগ হলে সম বন্টন!
আর গুন হলে বেশী বেশি!
লোভের ভারে উপচে পড়ে.. ডুবে যায় পৃথিবী।
এবার নিশ্চয়ই
“মানিক বন্দোপাধ্যায়ের” পদ্মাপাড়ের মানুষের অভাব ঘুচবেই!
পদ্মাপাড়ের মানুষের জন্য… সুরভিত শুভকামনা রইল।
নতুনের ঘরে ঘরে সম বন্টনের পতাকা উড়বে।
পৃথিবী শুদ্ধিকরণের মানচিত্র হাতে…
বিধাতা সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে… একাত্মতা প্রকাশের, বঞ্চিত মানুষের ঢলে!
আশীর্বাদের বৃষ্টিতে ভেসে যায়,একবিংশ শতকের যত প্রকৃতির প্রতিশোধের.. আতি মারি ব্যাধি!
বিদ্রোহী কবির অগ্নিবীণার, অগ্নি কন্ঠে সুরের গঙ্গা ঝরে! ধংসের বুকে পা’ ফেলিয়া আসে নব নব উত্থান” গাহে!
তবে আজকের কবির কলমে সাবধান বাণী ঝরে!
জেনে রেখ তোমরাও সবে, আজকের দিন পঞ্জিকার হিসাবের সন, তারিখ গুনে গুনে মনে মনে।
প্রকৃতির প্রতিশোধের ইতিহাস খানি।
আজি হতে হাজার বছর পড়েও, তোমরা মনে রেখ, এই একবিংশ শতাব্দীর—
মহা মৃত্যুর এই মহাকাব্যের আতি মারি–
হিসাবের স্মৃতি ছবি নথি ।।
ভুল হলে পুনরায় ইতিহাস বুমেরাং হবে জানি।