সুরভিত সুরভী : সুরভি জাহাঙ্গীর।

0
370

সদা হাসিমাখা! বৃষ্টি ঝরা!স্মৃতিমাখা!
মধুস্মৃতি নামের মেয়েটিকে দেখে… মুগ্ধ আমি! মুগ্ধ তুমি!
তার হাসিতে মুক্ত ঝরে রাশি রাশি!
ঠিক যেন রূপকথার.. কোন আঁকা গল্পের ছবি।
গোলাপ কালি চোখের ভাঁজে ভাঁজে আনারকলির লুকিয়ে রাখা যেন, কোন এক রাজকন্যার গল্প বলি—

এমন মুগ্ধ মনের, মধুস্মৃতি নামের মেয়েটিকে আজ হঠাৎ দেখি—
খিড়কী দরজা খুলে,নির্জন বনভূমিতে, আকাশমণি গাছটিকে জড়িয়ে ধরে.. ডুকরে ডুকরে কাঁদছে!

এমন ব্যথার ঢেউ, আমি সমুদ্র বক্ষেও কখনোই দেখি নাই।
তাহলে কি তাহার বক্ষে… ব্যাথার মহাসমুদ্র আছে?

তাকে জিগ্যেস করলাম.. তুমি কি রাতের সুগন্ধি রজনীগন্ধা!নাকি রাতের ব্যথার পূজিত কোন হাসনুহানা?
নয়তো রাশি রাশি হাসি হাসি ঝরে পড়া.. কোন কৃষ্ণচূড়া?

মেয়েটি মাথা নিচু করে, নাহ্! নাহ্! বলতেই, আমি তাকে বল্লেম, তাহলে কি ভীষণ প্রিয় বৃষ্টিভেজা গন্ধরাজ?
নয়তো তুমি বালিয়াড়ি বুকের কোন, কেয়া বন বিহারিণী..হয়ত একাকিনী নিশি জাগি?

মেয়েটি চিৎকার করে, থামিয়ে দিয়ে বলে উঠলো..আমি তোমাদের ভুলে যাওয়া, কোন একদিনের, মধুস্মৃতি নামের সুরভিত সুরভী! নয়তো গানের কলির কোন একদিনের ভুলে যাওয়া “কোন এক মল্লিকাদি”! অথবা মধু মালতী!

এবার আমি সত্যি সত্যিই চমকে গেলাম! আমি স্মৃতিতে বিহ্বল হলাম!
বেলা শেষের, আবেশের স্মৃতির ভাঁজে ভাঁজে, তন্নতন্ন করে খুঁজে খুঁজে..হারানো তাহাকে খুঁজে পেলাম।

আমি তাকে বললাম, তাহলে তুমিই আমাদের, হারিয়ে যাওয়া, মধুস্মৃতি নামের.. কস্তুরি মৃগ সোম সুরভিত সুরভী?

মেয়েটি স্বভাব সূলভ হাসির তুমুল ঝড় তুলে, শরৎ এর কাশফুলের, বিষাদের ঝড়ে যাওয়া পালক ফেলে, উড়ে যাওয়া পরিযায়ী পাখির পাখির দলে.. হারিয়ে যেতেই তাকে বললাম,
দাঁড়াও মেয়ে! তোমার না বলা.. সকল ব্যথার কথার উত্তর দিয়ে যাও।

মেয়েটি থমকে গিয়ে—
মেঘে মেঘে ভেসে ভেসে, হেসে হেসে কেঁদে কেঁদে বল্লো, জানো ভালোবেসে আকাশের নীলে হারিয়ে ছিলাম.. আকাশলীনা হব বলে!
আসলে আকাশ বলে আসলে কিছুই নাই.. সেখানে শুধু জল আর জল!
সেখানে শুধুই মেঘরাজের রাজত্ব আর শাসনের গুরুগম্ভীর.. তর্জনে গর্জনের তান্ডব।

আর নীলের নিমন্ত্রণের কথা বলছো? সে-তো শুধুই ছলনার মিথ্যে নিমন্ত্রণ।
আসলে নীল বলেও কিছুই নেই—
সে-তো মহাসমুদ্র পৃষ্ঠের, ভ্রান্তিবিলাসের ছায়া মাত্র।
সেখানে নীল বলে.. সত্যি সত্যিই কিছুই নেই।

তাইতো আমি—
তোমাদের মাঝে হেসে হেসে,মেঘে মেঘে ভেসে ভেসে.. আজো ভালোবাসা, ভালোবাসি খুঁজে মরি।।