দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- বীরভূম জেলার ইলামবাজারে কলেজ পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের কাণ্ডে আজ মূল অভিযুক্ত সেখ সালমান তদন্তের স্বার্থে নিয়ে আসা হল দুবরাজপুরে। ডিএসপি ক্রাইম ফিরোজ হোসেন, দুবরাজপুর থানার ওসি আফরোজ হোসেন এবং ইলামবাজার থানার ওসি তন্ময় ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। গত শনিবার মধ্যরাত্রে বীরভূমের ইলামবাজার থানার চৌপাহারি জঙ্গলে ধল্লা নামে একটি অঞ্চলে অপহরণ করে মুক্তিপণ না পাওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলী কেটে খুন করা হয় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিনকে। বীরভূম জেলা পুলিশ তদন্ত নেমে গ্রেফতার করে সৈয়দ সালাউদ্দিনের বন্ধু সেখ সালমানকে। সেখ সালমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে সালাউদ্দিনের গলার নলী কেটে খুন করে। ওই অস্ত্র কেনা হয়েছিল দুবরাজপুরের একটি গ্রীল দোকানে। পাশাপাশি সালমান নিজের মোবাইল ফোনটি দুবরাজপুরের একটি মোবাইল দোকানে সারাতে দিয়েছিল। এই দুটি জায়গায় কলেজ পড়ুয়া খুনে মূল অভিযুক্ত সালমানকে নিয়ে গিয়ে ইলামবাজার ও দুবরাজপুর থানার পুলিশ পুনঃনির্মাণ করাল। পাশাপাশি জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া স্কুটি কোথায় কেনা হয়েছিল সেই মোটর বাইক শোরুমেও অভিযুক্ত সেখ সালমানকে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে গতকাল কলেজ পড়ুয়া খুনে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন মৃত সৈয়দ সালাউদ্দিনের কাকা সৈয়দ আব্দুল মঈন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তার ভাইপোর খুনের মামলায় সুপারি কিলার যোগ রয়েছে। কারণ শনিবার দুপুর দিকে সালমান তার স্কুটিতে করে দুজনকে চাপিয়ে নিয়ে যাই মুখ বাঁধা অবস্থায়। খুনের তদন্তে সেই বিষয়গুলিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেখ সালমানকে সশরীরে নিয়ে গিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চালায় বীরভূম জেলা পুলিশ।