প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন ক্যানিং ত্রাতার ভূমিকা ত্রয়ী।

0
277

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং: – গত তিনদিনের প্রবল বর্ষনে জলমগ্ন গোটা ক্যানিং শহর সহ সংলগ্ন এলাকা।
এমনই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ সাধারণ মানুষ ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রয়েছেন।পাড়ার অলিগলি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট এমনকি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের নার্সদের কোয়ার্টার পর্যন্ত জলমগ্ন।কোথাও হাঁটু সমান আবার কোথাও বা এক কোমর।পরিস্থিতি কে সামাল দেওয়ার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস।সাধারণ মানুষ যাতে দুর্ভোগের মধ্যে না পড়ে তার জন্য গ্রামপঞ্চায়েত গুলো কে ত্রিপল, পর্যাপ্ত পরিমান শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।এলাকায় জমাজল যাতে করে দ্রুততার সাথে পরিষ্কার হয় তারও নির্দেশ দিয়েছেন সেচ দফতর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলো কে।মূলত ক্যানিং শহর মাতলা ১ ও ২ এবং দিঘীরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে অবস্থিত।বৃষ্টি থামতেই বিধায়কের নির্দেশ কে প্রাধান্য দিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ঘোঁচাতে ময়দানে নামলেন ক্যানিংয়ের মাতলা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল যুব সভাপতি আয়ুব সেখ,অঞ্চল সভাপতি পরেশ মন্ডল ও মাতলা ২ পঞ্চায়েত কো-অর্ডিনেটর শঙ্কর হালদার’রা।মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যানিং শহর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার জল নিকাশী নালা এবং সুইচগেট গুলোতে জমে থাকা ময়লা আবর্জনা,প্লাস্টিক পরিষ্কার করে জলনিকাশি ব্যবস্থা সচল করেন।
বিধায়ক পরেশরাম দাসের নির্দেশে ত্রয়ীর এমন উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
অন্যদিকে প্রবল বর্ষনে জল জমে যাওয়া প্রসঙ্গে মাতলা ২ অঞ্চল যুব সভাপতি আয়ুব সেখ জানিয়েছেন ‘সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের করজোড়ে আবেদন,প্লাস্টিক বর্জন করুন।এবং যত্রতত্র নোংরা-আবর্জনা প্লাস্টিক ফেলবেন না।কারণ নোংরা-আবর্জন আর প্লাস্টিক জলের গতিপথ রোধ করে দিচ্ছে।পাশাপাশি নিকাশি নালা বন্ধ করে ফেলছে। আমরা-আপনারা সামান্য একটু সজাগ হলেই বৃষ্টিতে আর ডুবে যেতে হবে না’।