‘একটা ডাঙ্গাইলে দুইটা ডাঙ্গামো, পাঁচটাও হবার পায়।’ শীতলখুচিতে বিজেপিকে হুশিয়ারি উদয়ন গুহের।

0
264

মনিরুল হক, কোচবিহার: ‘একটা ডাঙ্গাইলে দুইটা ডাঙ্গামো, পাঁচটাও হবার পায়।’ শীতলখুচিতে দলীয় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের বিজেপিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে। গত রবিবার শীতলখুচিতে বিজেপির চোর ধরো জেল ভরো কর্মসূচী উপলক্ষ্যে মিছিল সংঘটিত হয়। সেই মিছিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ তোলে বিজেপি। তৃণমূল পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে সন্ত্রাস করার অভিযোগ তুলে এদিন শীতলখুচি মার্কেট কমপ্লেক্সে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করে।
সেই সভায় বক্তব্য রাখতে উদয়ন বাবু বলেন, “সেদিন বিজেপি মিছিল দেখলাম, কাঁচা বাঁশ নিয়ে মিছিল করছে। বাঁশ দেখিয়েছো এবার বাঁশের জ্বালা বোঝো। আমাদের নেতারা শান্তিপ্রিয় ভাবে গণতান্ত্রিক মিছিল মিটিং করতে বলে। কিন্তু তোমরা হামার ছাওয়াক ডাঙ্গাইবেন, হামরা চুপ করি বসি থাকমো, এইটা হবার নয়, তোমরা একটা ডাং ডাঙ্গাইলে হামরা দুইটা ডাঙ্গামো, পাঁচটাও হবার পায়।”
এদিন ওই সভায় উদয়ন বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপন কুমার গুহ, প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মন অন্যান্য নেতৃত্ব।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকও বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন। তিনি এক ঘণ্টার মধ্যে গোটা জেলায় বিজেপির সমস্ত দলীয় কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলতে পারবেন বলে তাঁকে হুমকি দিতে শোনা যায়। অভিজিৎ বলেন, “সেদিন যখন ওরা গণ্ডগোল পাকাই। তখন এক সাংবাদিক বন্ধু ফোন করে জানতে চান আপনাদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর হয়েছে। আপনি কি বলবেন? আমি উত্তরে বলেছিলাম, আমরা চাইলে এক ঘণ্টার মধ্যে গোটা জেলায় বিজেপির সমস্ত কার্যালয় ভেঙ্গে দিতে পারি। কিন্তু আমরা সেই পথে যাই নি। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এখানে পাল্টা মিছিল ও সভা করে দেখিয়ে দিয়েছি।”
পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চরতে শুরু করেছে কোচবিহারে। তৃণমূল নেতৃত্ব এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে পারে, সাধারণ মানুষ যাতে ভোট দিয়ে তাঁদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, সেই বার্তা বারবার দিতে চাইলেও আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোচবিহার যে উত্তপ্ত হতে চলছে, তার ইঙ্গিত এখন থেকেই মিলতে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারনা।