শেখ মোমিন,সামজান,বাপ্পা সূর্য্য ও দীপঙ্কর স্যারের সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে 46 বছরের পুরানো পুজোর থিম ‘পুজোটায় মাটি’ উদ্যোক্তা গোলকুঁয়া চক পুজো কমিটি।

0
378

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- শেখ মোমিন,সামজান পাপ্পু,বাপ্পা সূর্য্য ও দীপঙ্কর সন্নিগ্রাহী সহ সব ধর্ম বর্ণের মানুষ নিয়ে গোলকুঁয়া চকের এই সম্প্রীতির দুর্গাপুজো এবারে পা দিল ৪৬ তম বর্ষে।প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা খরচা করে এবারের দুর্গ পুজোর থিম ‘পুরো পুজোটাই মাটি’ তবে এই জল কাদার মধ্যেই পুজো মাটি,না থার্মোকল প্লাস্টিকের ব্যবহার বর্জন করে সম্পূর্ণ মাটির জিনিসপত্র দিয়েই মন্ডপের থিম তা কিছুটা হল লুকিয়ে রেখেছে মন্ডপ কর্তারা।এই চমক তারা লুকিয়ে রেখেছে দর্শনার্থীদের জন্য।মূলত মেদিনীপুর শহর ও জেলা হিন্দু, মুসলিম খৃষ্টান সহ নানা সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। যেখানে প্রায় মাঝে মাঝেই বিভিন্ন কারণে জাতিগত গন্ডগোল হয় এবং সম্প্রীতির মিছিল করে সেই গন্ডগোল থামাতে রাস্তায় নামেন মানুষেরা।কিন্তু গোলকুঁয়াচকে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ।পুরোপুরি বাংলার এই বাঙালির উৎসবে চাঁদা তোলা থেকে প্রতিমা প্রস্তুত এবং মণ্ডপ তৈরিতেও রয়েছে শোভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির ছবি। যেমন পাপ্পু প্রতিমা মূর্তি তৈরি করছেন তখন অপরদিকে মোমিন তৈরি করছেন দেবীর অস্ত্রের কাজ এই পাশাপাশি সুজয় ও কাজল বাবু তৈরি করছেন মন্ডপের থিমের গড়ে তোলার প্রধান কাজ এক সাথে বসেই এ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। কারণ হাতে সময় কম।এই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে প্রতিবছরই পূজোয় সেরা শিরোপা জিতে নেন এই পুজো কমিটি।আর এখানেই ভিড় জমান শহর জেলাসহ ভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ।উদ্দেশ্য সম্প্রীতির পুজোতে রীতিনীতি দেখা এবং পুজোয় থিম ও প্রতিমা দর্শন করা।এই সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে এবারে গোলকুঁয়া চক পুজো কমিটির দুর্গোৎসব থিম ‘পুরো পুজোটাই মাটি’।

পুজো উদ্যোক্তা দীপঙ্কর সান্নিগ্রহী বলেন যেখানে জাতিগত ভেদাভেদ,রাজনীতিগত ভেদাভেদ এবং সামাজিকভাবে মানুষ একে অপরের শত্রু হিসেবে মনে করে সেখানে আমরা এই গোলকুঁয়া চকের মানুষজন সম্প্রীতির বার্তা দিতে এই পুজো করে চলেছি দীর্ঘদিন ধরে।এখানে মন্ডপের জন্য কোনো শিল্পী লাগে না। সব ধর্মের মানুষই যেমন মন্ডপ গড়ার কাজ করে তেমনি প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি পুজোর কটা দিনে তার পুজো পার্বণ তার রীতিনীতি তাকে সাজানো এবং বিসর্জনেও কাজ করে এই ছেলেমেয়েরা। তাই প্রতি বছরের নতুন চমকের মতো এ বছরও আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে আমাদের চমক পুজোটাই মাটি।

মন্ডপের কাজে অংশ নেওয়া শেখ মোমিন বলে আমাদের এখানে কোন পুজো,মহরম বড় ছোট নয় বা বড় নয়।আমরা সবাই এক এবং অভিন্ন।আমাদের যেমন মহরমেও হিন্দু ভাইরা আমাদের সঙ্গে থাকে তেমনি দুর্গোপজোতে আমরা প্রতিমা গড়ার কাজে পাশাপাশি রীতিনীতি পুজোতে অংশগ্রহণ করি ভাইয়ের মত। উদ্দেশ্য শোভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া বিশ্বকে।