শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসবেন নাকি মল্লগড় বিষ্ণুপুর সহ জয়রামবাটি মাতৃমন্দির বা জঙ্গলে ঘেরা বনলতা রিসর্টে।

0
798

আবদুল হাই,বাঁকুড়াঃ- কাশফুল আর নীল আকাশ যেন জানান দিচ্ছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পূজো আসন্ন। আর এই পূজো এলেই ভ্রমন পিপাসু বাঙালীরা পূজোর ছুটিকে উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়ে চরৈবেতিতে। পরিবারের সাথে ছুটিটা কাটাতে নির্ভিতে যারা পছন্দ করেন তাদেরকে জঙ্গল আর হাজার বছরের প্রাচীন মল্লরাজাদের অদ্ভুত সব নির্দশন তার সাথে অনতি দূরে মা সারদার জন্মস্থান জয়রামবাটি যেন সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছে। কটা দিন শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে কে না চায় বলুন? তাহলে প্রকৃতি এবং স্থাপত্যের মেলবন্ধনের এই ক্ষেত্র গুলো হলে মন্দ কি!

এমনিতেই লাল মাটির বাঁকুড়া ভ্রমন পিপাসু বাঙালির প্রথম সারিতেই থাকে তাই তো লালমাটির টানে ছুটে আসে হাজারো পর্যটক। এইবার পূজোতে একইভাবে পর্যটকদেন মন যোগাতে সেজে উঠছে এই ক্ষেত্র গুলো। মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের পুরোনো সব নির্দশন যেমন জোড়মন্দির,মা মৃন্ময়ীর মন্দিরের হাজারো বছরের ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজো,গুম ঘর,দলমাদল কামান,রাসমঞ্চ গুলোতে টেরাকোটার যে অদ্ভুত শৈলি তা নিজের চোখে একবার পরখ না করলে বোঝায় ভার, এমন এক শহর যার অলিতে গলিতে শুধু ইতিহাস আর ইতিহাস। এই মল্লগড় থেকে অল্প দূরে গেলেই দেখা মিলবে জংগলে ঘেরা বনলতা রিসোর্ট সেখানকার জায়েন্ট রসগোল্লা,ল্যাংচা,এমু পাখি, ঝাঁক ঝাঁক রাজহাঁস এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কুটির মন কাড়তে পারে পর্যটন প্রেমীদের। আর মা সারদার জন্মস্থান জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে গেলেই মিলবে অদ্ভুত এক শান্তি, সেখানকার কুমারী পূজো থেকে শুরু করে মা দুর্গার আবাহন সব অবসাদ গ্লানি যেন এক লহমায় দূর করে দেয়। সবে মিলে লাল মাটির এই ক্ষেত্র গুলো যেন বিনোদনের জন্য পসার সাজিয়ে বসে আছে।

বিষ্ণুপুরের মহকুমাশাসক অনুপ কুমার দত্ত বলেন,মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানাতে, জয়রামবাটি মাতৃ মন্দিরের মহারাজও জানান মাতৃমন্দির আগের মতই স্বমহিমায় ফিরে এসছে,সপ্তমী অষ্টমী নবমী তিন দিনই ভোগ পাওয়া যাবে দর্শনার্থীদের জন্য, নববীর দিনে প্রায় আঠেরো থেকে কুড়ি হাজার মানুষের প্রসাদ খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হাজারো কর্মব্যবস্তার ভীড়ে হারিয়ে আনন্দকে কয়েক মহুর্তের জন্য খুঁজে নিতে যে মানুষগুলো বেড়িয়ে পড়ে তাদের জন্য প্রকৃতির এই নির্মল স্থান গুলো যেন ‘পারফেক্ট ডেস্টিনেশন’ । তাই এবারের পুজোটা উপভোগ করতে আসবেন নাকি লালমাটির বাঁকুড়াতে???