সেজে উঠছে ফালাকাটার মশলাপট্টি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির অসামান্য শিল্প নৈপুণ্য পুজো মণ্ডপ।

0
315

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার:- সেজে উঠছে ফালাকাটার মশলাপট্টি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির অসামান্য শিল্প নৈপুণ্য পুজো মণ্ডপ। মশলাপট্টির অভিনব চোখ ধাঁধানো থিমের মণ্ডপ যা দর্শকদের এবার তাক লাগিয়ে দেবে বলে আশা উদ্যোক্তাদের। ফালাকাটা মশলাপট্টি দুর্গাপুজো কমিটি তাঁদের এই থিম পুজোর নাম দিয়েছে ‘আগন্তুক’। পুজো মণ্ডপে তুলে ধরা হচ্ছে হারিয়ে যাওয়া পুরনো দিনের গ্রামোফোন রেকর্ড, গানের ক্যাসেট, ছাপাখানার মেশিন, রেডিও ও টেলিভিশনের পুরনো দিনের মডেল। ঠাকুর দেখতে এসে বয়স্ক দর্শকরা যা দেখে অবশ্যই নস্টালজিয়ায় ভুগবেন। থাকছে চিঠিপত্র হাতে নিয়ে বাড়ি বাড়ি বিলি করা হারিয়ে রানারদের ছবি। ফালাকাটার মশলাপট্টি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির গত বছর ছিল সুবর্ণ জয়ন্তী বছর। কিন্তু গত বছর কোভিড পরিস্থিতির জন্য তাঁরা বড় আকারে ও জাঁকজমক করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করতে পারেনি। সেই আক্ষেপ এবার অভিনব থিমের মণ্ডপ দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন মশলাপট্টি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির কর্মকর্তারা। যার জন্য এবার পুজোর বাজেটের বহর বেড়েছে। ফালাকাটা মশলাপট্টি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির সম্পাদক শুভব্রত দে বলেন, আমাদের পুজো এ বছর ৫১ বছরে পড়ল। ইচ্ছে থাকলেও কোভিডের জন্য আমরা সুবর্ণ জয়ন্তী বছরের দুর্গাপুজো বড় আকারে করতে পারেনি। তাই এক বছর পর সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এবার পুজোর বাজেট বাড়ানো হয়েছে। এবার জাঁকজমক করেই পুজো করছি আমরা। তিনি আরো বলেন, মণ্ডপে অভিনবত্ব ছাড়াও থাকছে বয়স্ক মানুষের স্ট্যাচু। মণ্ডপে ঢুকতে হবে পাল তোলা নৌকোর পাশ দিয়ে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পুজো মণ্ডপে বাজবে ধামসা মাদল। জানা গিয়েছে, থাকছে চন্দননগরের বাহারি আলোকসজ্জাও। প্রতিমাও তৈরি হচ্ছে মণ্ডপের থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। ফালাকাটায় এসে কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পী প্রতিমা তৈরি করছেন।