পূঃ বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- ক্লাব বা সংগঠন বলতেই আমরা বুঝি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সমাজের মধ্যে নিজেদের একটা আলাদা প্রতিচ্ছবি তৈরি করা। কিন্তু মাঝেমধ্যেই আমাদের চোখে পড়ে ক্লাবের বিভিন্ন অসঙ্গতিপূর্ণ কাজ। কিন্তু সবাই যে একই রকম হয় না তারেক আলাদা দৃষ্টান্ত রেখেছে বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বড়শুল কিশোর সংঘ। সমাজের মধ্যে এক আলাদা প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছে এই ক্লাব বা সংগঠন। শুধুমাত্র নিজেদের বিভিন্ন পূজা পার্বণের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে না রেখে এক আলাদা দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করেছে বড়শুল কিশোর সংঘ। করোনা মহামারীতে আমরা দেখেছি দিবারাত্র মানুষের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন ও এক সংখ্যালঘু মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল বড়শুল কিশোর সংঘ। আজ আবারো তাদের অভিনব চিন্তাভাবনার মধ্যে শক্তিগড় থানার ৫২ জন সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশ বন্ধুদের হাতে ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা জনিত বীমা প্রশংসা পত্র তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও বড়শুল কিশোর সংঘের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ৫০০ জন মহিলার হাতে নতুন বস্ত্র উপহার তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেন, ডিএসপি হেডকোয়ার্টার অতনু ঘোষাল, শক্তিগড় থানার ওসি দীপক সরকার , বর্ধমান মহিলা থানার আইসি বনানী রায়,বর্ধমান দু’নম্বর ব্লক এর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুবর্ণা মজুমদার, বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, জামালপুর বিধানসভার বিধায়ক অলক কুমার মাঝি, পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৌভিক পান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। মানুষের জীবনের মধ্যে এইরকম ভাবে নতুন নতুন চিন্তা ভাবনার এক প্রতিচ্ছবি তৈরি করে এগিয়ে চলুক বড়শুল কিশোর সংঘ।