ত্রুপ বা তর্পণ এ বিষয়ে ছোট্ট একটি প্রতিবেদন : শতাব্দী মজুমদার।

0
326

ত্রুপ কথাটির অর্থ তৃপ্তি বা সন্তুষ্টি।
“তৃপ্তন্তু সর্বমানবা” কথাটি তর্পনের মন্ত্রে উচ্চারিত হয়। তর্পণ কেবলমাত্র পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যেই নয়,পৃথিবীর সামগ্রিক উত্তরণের অর্থাৎ মানবজাতিকে তৃপ্ত ও সন্তুষ্ট করবার জন্যই তর্পণ।

হিন্দুশাস্ত্রে সংস্কৃতশব্দ ত্রুপ বা তর্পণের প্রকারভেদ পাওয়া যায়।যেমন দেবতর্পণ ,গুরুতর্পণ,যমতর্পণ
ঋষিতর্পণ,পিতৃতর্পণ,মাতৃতর্পণ ইত্যাদি।

সূর্য্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষের সূচনা হয় ,পূর্বপুরুষেরা সেইসময় স্বর্গলোক ছেড়ে মর্ত্যলোকে অবস্থান করেন , এই এক পক্ষকাল সময়ই পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করবার প্রশস্ত সময় হলেও মূলত মহালয়ার দিনই তিল ,চন্দন,তুলসীপাতা , সহযোগে তর্পণ করা হয়।

পিতৃপক্ষের অবসানে অমাবস্যার অন্ধকার পেরিয়ে দেবিপক্ষের আলোকময় যে মহালগ্ন তাকেই বলা হয় মহালয়া।তর্পণের শেষে সূর্য্য প্রণাম করে অসুরবিনাসিনি দেবীকেই আহবান করা হয়।