মনিরুল হক, কোচবিহার: আসন্ন দুর্গা পূজোর সরকারি অনুদানের চেক বিলি শুরু মাথাভাঙায়। মাথাভাঙা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান পূজো কমিটিগুলির হাতে রাজ্য সরকারের অনুদানের চেক তুলে দিয়ে চেক বিলি শুরু করেন। এদিন থানা পাড়া সহ বেশ কয়েকটি পূজো কমিটির হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে চলতি বছরের দুর্গোৎসবের সূচনা ইতিমধ্যেই হয়ে গেছে। বর্তমানে মাথাভাঙা বিভিন্ন পূজো কমিটিগুলি একে অপরকে টেক্কা দিতে জোর কদমে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এরই মাঝে সরকারি অনুদানের চেক হাতে পাওয়ায় খুশি পূজো কমিটিগুলিও। আইসি ভাস্কর প্রধান বলেন, আজকে কিছু ক্লাবকে চেক দেওয়া হয়েছে, বাকি ক্লাবগুলিকে পর্যায় ক্রমে চেক গুলি দেওয়া হবে।
জানা গেছে, মাথাভাঙা থানার অন্তর্গত ৫৫ টি পূজো কমিটিকে দুর্গাপূজার অনুদানের এই চেক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য গত ২২ আগস্ট কলকাতার নেতাজি ইন্ডোরে দুর্গাপুজোর আয়োজন সংক্রান্ত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবার পুজো উদ্যোক্তাদের ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। তারপর ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এনিয়ে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। যদিও পুজো অনুদান নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি হাইকোর্ট। ফলে রাজ্যের ৪০ হাজার ৯২টি ক্লাব বা পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। তারপর থেকে রাজ্য জুড়ে চেক বিলি পর্ব শুরু হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিগত বছরগুলিতে যেসব ক্লাব নির্দেশ মেনে অনুদানের অর্থ খরচ করেছিল এবং সঠিক সময়ে তার হিসেব জমা দিয়েছিল তারাই এবার অনুদানের অর্থ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মতো পুলিস ক্লাবগুলিকে অনুদানের অর্থ বিতরণ করবে। অনুদানের টাকা যে শুধুমাত্র জনস্বার্থেই ব্যবহৃত হয়েছে তা নিশ্চিত করারও দায়িত্ব বর্তাবে রাজ্য পুলিসের ডিজি ও তাঁর আধিকারিকদের উপর। পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান বাবদ প্রাপ্ত অর্থ খরচের হিসেব ১৫ নভেম্বরের মধ্যে এসডিওর কাছে জমা দিতে হবে। অনুদান পাওয়া এক পুজা কমিটির সদস্য বলেন, ৬০ হাজার টাকার চেক পেয়েছি। থানার আধিকারিকরা সুষ্ঠুভাবে সকল উদ্যোক্তার হাতে চেক তুলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই অনুদান অনেক ক্লাবকে সমাজসেবা মূলক কাজ করতো উদ্বুদ্ধ করছে। আমরা পুজোর পাশাপাশি বস্ত্র বিতরণ ও অন্যান্য সমাজসেবার কাজ করি। সেই জন্য গত কয়েক বছর ধরে এই অর্থ ব্যয় করি। একইভাবে অন্যান্য ক্লাবগুলিও এই অর্থ দিয়ে এলাকার মানুষের বিভিন্ন সেবামূলক কাজে ব্যবহার করতে পারছে।