প্রথা মেনেই রাড়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মায়ের ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বর্ধমান শহর জুড়ে শারদ উৎসবের সূচনা।

0
513

পূঃ বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- রাজার আমলের প্রথা মেনেই মহালয়ার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদে রাড়বঙ্গের অধিষ্ঠাত্রী দেবী সর্বমঙ্গলার মায়ের ঘট উত্তোলন ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই বর্ধমান শহর জুড়ে শারদ উৎসবের সূচনা। রুপোর ঘট নিয়ে বর্ধমান শহরের কৃষ্ণসায়ের থেকে জল তুলে রাজ আমলে প্রথা অনুযায়ী ঘোড়া করে ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে সর্বমঙ্গলা মায়ের মন্দিরে নিয়ে আসা হয়।এই সুন্দর শোভাযাত্রা তে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাধারণ মানুষ।কথিত আছে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে শহর বর্ধমানের উত্তরাংশে বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায় বাগদিরা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে একটি শিলামূর্তি পেয়েছিল।

সেটিকে প্রস্তর খণ্ড ভেবে তার উপরে শামুক–গুগলি থেঁতো করতো। সেই সময় দামোদর নদ লাগোয়া চুন তৈরির কারখানার জন্য শামুকের খোলা নেওয়ার সময় শিলামূর্তিটি চলে যায় চুন ভাটায়। তখন শামুকের খোলের সঙ্গে শিলামূর্তিটি পোড়ানো হলেও মূর্তির কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে সেই রাতে স্বপ্নাদেশ পাওয়া মাত্র বর্ধমান মহারাজা সঙ্গম রায় শিলামূর্তিটিকে নিয়ে এসে সর্বমঙ্গলা নামে পুজো শুরু করেন।

পরবর্তীকালে ১৭০২ সালে টেরাকোটার নিপুণ কারুকার্য খচিত সর্বমঙ্গলা মন্দির নির্মাণ করেন মহারাজাধিরাজ কীর্তিচাঁদ মহতাব। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে ঘট প্রতিষ্ঠিত হয় দেবী সর্বমঙ্গলার। আজ এই মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক খোকন দাস,বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র সরকার, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামানিক সহ মন্দির কমিটির সদস্যবৃন্দ।