আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ শ্রেয়া নন্দী, বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের পাহাড়পুর গ্রামের এক অসহায় গরীব পরিবারের মেয়ে।
বাবা জনমজুরের কাজ করে কোন মতে সংসার চালায়।
শ্রেয়া যখন অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে তখন তার মা ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে যায়।
ক্যান্সারে আক্রান্ত মরাণাপন্ন মায়ের একমাত্র সেবিকা ছিল শ্রেয়া।
এই বয়সে ছেলে মেয়েরা যখন স্কুলের পড়াশোনা স্কুল এবং সঙ্গী সাথীদের সাথে খেলাধুলা করে আনন্দে জীবন কাটাব কথা তখন শ্রেয়াকে রান্নাবান্না থেকে বাড়ির যাবতীয় কাজ করে মায়ের সেবা যত্ন, খাওয়া দাওয়া সবকিছুই করতে হয়েছে একার হাতে।
গত ডিসেম্বর মাসে দীর্ঘ রোগভোগের পর চির নিদ্রায় চলে যায় শ্রেয়ার মা।
শ্রেয়া এখন একা। তাকে এখনো বাড়ির রান্নাবান্না থেকে বাড়ির সবকিছু একার হাতে করতে হচ্ছে।
চারিদিকে দুর্গোৎসব এর সমারোহ ।
আর পাঁচটা ছেলে মেয়ে যখন নতুন জামা কাপড় কিনছে তখন শ্রেয়া একাকী চার দেওয়ালের মধ্যে নিঃশ্চুপ। দু চোখে জল।
মায়ের কথা মনে পড়ছে সব সময়।
সংসারের দু মুঠো অন্ন জোগাড় করতে তার বাবাকে সারাদিন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করতে হয়।
জীবন সংগ্রামের লড়াইয়ে শ্রেয়া আজ পিছিয়ে নেই।পিছিয়ে নেই তার বাবাও।
আজ শেয়ার একটা নতুন জামা দরকার।দরকার একটু খুশি।
আসুন না আমরা শ্রেয়ার পাশে থাকি।
সাংবাদিক আবদুল হাই শ্রেয়া নন্দীর বাবার কাছে জানতে পারেন শ্রেয়া নন্দীর এখনো জামা কাপড় কেনা হয়নি। এই কথা শুনে তৎক্ষণাৎ সোনামুখী শহরের সোনামুখী বি জে হাইস্কুলের দুই শিক্ষক ও এক শিক্ষিকাকে সবকিছু বলেন।শ্রেয়া নন্দীর যন্ত্রনার কথা শুনে এগিয়ে আসেন দুই শিক্ষক ও এক শিক্ষিকা।শ্রেয়াকে নিয়ে আমাদের সাংবাদিক বিভিন্ন দোকানে যায়।শ্রেয়া তার পছন্দের মতো জামা, জুতা সহ অন্যান্য সামগ্রী কিনে। শ্রেয়া নন্দী খুবই খুশি।সে যে আরো পাঁচটা ছেলে মেয়েদের মতো পুজোয় আনন্দে মেতে উঠবে।
ছোট্ট শ্রেয়ার হাতটা ধরে কেউ বলুক ….” মা শ্রেয়া আমরা আছি তোর পাশে “
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা নবম শ্রেণীর দুর্গাটা , পুজো প্যান্ডেলের ঢাকের আওয়াজে ছোট্ট ঘরে একাকী কাঁদছে।