প্রকাশ কালি ঘোষাল, হাওড়া : রাজ্য সরকারের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে লক্ষী লাভ মন্ডপে এমনই পরিকল্পনা সালকিয়া দুর্গোৎসবের পূজা কমিটির। পূজা মন্ডপে প্রতিমা দর্শনে লক্ষীলাভ! পুজোর কয়েকটা দিন মন্ডপে গেলে মিলতে পারে নগদ ৫০০ টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, প্রায় প্রতি বছর আকর্ষণীয় থিমে সেজে ওঠে হাওড়া সালকিয়া দুর্গ উৎসব বারোয়ারির পূজো মন্ডপ । এ বছর তারা একটা ব্যতিক্রমী চিন্তা ভাবনায় নিয়ে এসেছেন পূজা মন্ডপে। এবার তাদের পুজো মণ্ডব সেজে উঠছে রাজ্য সরকারের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে। তাতেই জেলা জুড়ে সারা পড়ে গিয়েছে। এবার তাদের পুজো ১৫০ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই ১৫০ তম বর্ষের পুজোকে স্মরণীয় করে রাখাতে অভিনব উদ্যোগ তাদের। মণ্ডপ সেজে উঠেছে লক্ষীর ভান্ডার থিম।
অপরূপ পরিবেশ, আলোক সজ্জা শালকিয়া দুর্গোৎসব বারোয়ারিতলার পূজা মন্ডপে। বিশাল আকার পুকুর, সেই পুকুরের মাঝখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার আদলে মন্ডপ। পুকুরের মাঝ বরাবর বাঁশের সাঁকো পুকুরের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সাঁকো পেরিয়ে প্রতিমা দর্শনের সুযোগ দর্শকদের। আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন কারুকার্যে সেজে উঠছে পূজা মন্ডপ ও মন্ডপ চত্বর। আকর্ষণীয় মণ্ডপের পাশাপাশি পূজোর পাঁচ দিন মহিলাদের জন্য লক্ষ্মী লাভের সুযোগও থাকছে। পুজো উদ্যোক্তা সমিত কুমার ঘোষ জানান, সন্ধ্যা থেকে প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর লটারির মাধ্যমে পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিন ১০ জন মহিলা বিজেতা লটারির মাধ্যমে নগদ ৫০০ টাকা করে উপহার পাবে। প্রথমে কাউন্টার সেখানে কুপন লেখা হবে তারপর সাঁকো দিয়ে পুকুরের মাছ বরাবর লক্ষ্মীর ভান্ডার সেই ভান্ডারে এসে ড্রপবক্স থাকবে, সেখানে ওই কুপন ড্রপ করবে দর্শকরা তারপর প্রতি ৩০ মিনিট অন্তর লটারির মাধ্যমে পুরষ্কার। চূড়ান্ত পর্যায়ে মন্ডপ সজ্জার কাজ চলছে সালকিয়া দুর্গোৎসব বারোয়ারিতে। অভিনব আঙ্গিকে থিম এবং পরিকল্পনা তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য এই পূজা কমিটির। হাওড়া জেলা জুড়ে বেশ সাড়া ফেলেছে এই পূজা কমিটির চিন্তাভাবনার বিষয়বস্তুকে নিয়ে। এখন শুধু অপেক্ষায় আছে সাধারণ দর্শ সেই সন্ধিক্ষণ অর্থাৎ মহা পঞ্চমীর দিনের। কার ভাগ্যে লক্ষী লাভ হয়, তা দেখার শুধু সময়ের অপেক্ষা।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা রাজ্য সরকারের লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পকে কেন্দ্র করে লক্ষী লাভ মন্ডপে এমনই পরিকল্পনা...