আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ অভাবের সংসারে কিছু বাড়তি টাকা রোজকারের জন্য ঢাক, ঢোল, ঝাম্পো ইত্যাদি বাদ্যকারেরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকে বছরের এই সময়ের জন্যে।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব হয়ে যায় দেবী বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু বাধ্যকর পাড়ার উৎসব শুরু হয় দশমীর পর থেকেই কারণ অর্থ উপার্জনের জন্য বাড়ির পুরুষেরা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ছুটে যায় বাংলার কোনায় কোনায়, ছুটি পায় দেবী বিসর্জনের পরেই তারপর ফিরে আছে বাড়ি,
ছেলেমেয়েদের পোশাক থেকে উৎসবের আনন্দ শুরু হয় তারপরেই।
টানা এক মাস প্রস্তুতির পর পেটের টানে আজিই রওনা দিল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রামের যুবকেরা।
গত দুই বছর করোনা ও লকডাউনের যাঁতাকলে ব্যবসায় পড়েছিল ভাঁটার টান ।
আজ পঞ্চমী। উৎসবের মেজাজে শহর। বছরের এই সময় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ঢাক, ঢোল, ঝম্পো ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে প্রতিবার আসে কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গায়। আর এই কটা দিন যা রোজগার হয় তা নিয়ে যে যার গ্ৰামে ফিরে যায় হাসিমুখে। বাড়িতে শুরু হয় হইহুল্লোড়।