পুজোতে ভিড় এড়াতে মূল রাস্তায় টোটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করলো জেলা পুলিশ।

0
324

ঝাড়গ্রাম, নিজস্ব সংবাদদাতা:- গত দু’বছর করোনার জেরে পুজোর আনন্দ অনেকটাই তাল কেটেছিল। যারফলে পুজোর আনন্দে সামিল হতে পারেননি অনেকেই। করোনা পর্ব কাটিয়ে এবার পুজোর ভিড় অনেকটাই বাড়বে বলে পুলিশের ধারণা। তই পুজোর সময় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণবিধি জারি করল ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। মেইন রাস্তায় টোটো চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা পুলিশ। তবে ইভটটিজিং রুখতে মণ্ডপে মণ্ডপে সাদা পোশাকের পুলিশ ভিড়ের সঙ্গে মিশে থাকবে। এছাড়াও মণ্ডপে থাকবে প্রমিলা বাহিনী। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কল্যাণ সরকার বলেন, ‘‘পুজোর সময় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মণ্ডপগুলিতে সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। ইভটিজিং রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করা হবে।’’
পুজোর সময় ঝাড়গ্রাম শহরে বিভিন্ন যান চলাচল নিয়ে বৈঠক করেছে জেলা পুলিশ। সেখানে জেলা প্রশাসন, পুরসভা ও টোটো, বাস সংগঠনের আধকিারিকরা ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঝাড়গ্রাম শহরে কোনও পণ্যবাহী ভারী লরি ঢুকতে পারবে না। শহর ঢোকার মুখে জামবনি মোড়, বাছুরডোবা চক্ষু হসপাতাল, জামদা সরেন পেট্রল পাম্প, দুবরাজপুর মোড়ে আটকে দেওয়া হবে পণ্যবাহী ভারী লরি। এছাড়াও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে গুপ্তমণি, চিচিড়া এলাকায় ও ৫ নম্বর রাজ্য সড়কে জব্বলপুর ও দহিজুড়ি অর্জুন তলে গাড়িগুলি আটকে দেওয়া হবে। শহরের মেইন রাস্তার সেটেলমেন্ট মোড় থেকে ঠেকনা মোড় পর্যন্ত টোটো চলাচল বন্ধ থাকবে। কদমকানন গেট পেরিয়ে বাছুরডোবার দিকে যেতে পারবে। কিন্তু কোনও টোটো পুনরায় কদমকানন গেটের দিকে ফিরে আসতে পারবে না। আবার মাতৃসৌধ মোড় থেকে কদমকাননের দিকে টোটো বা চারচাকা আসতে পারবে না। কোন পথে টোটো যাবে আবার কোন পথে টোটো আসবে তা পুলিশের তরফ থেকে রুট করে দেওয়া হয়েছে। তবে মেইন রাস্তায় চারচাকা বা ছোট গাড়ি চলাচল করতে পারবে। কিন্তু পুজো মণ্ডপের সামনে চারচাকার পার্কিং করতে দেওয়া হবে না। ১ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত বিকেল তিনটা থেকে রাত সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে। কিন্তু শহরের টোটো চালকের অভিযোগ, যে রাস্তায় রুট করে দেওয়া হয়েছে। তার অধিকংশ রাস্তা ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরে রয়েছে। পুজোর মুখে সংস্কার হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনও শুরু হয়নি। যারফলে পুজোর সময় যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটনা আশঙ্কা করছেন টোটো চালকরা।