নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:- দুর্গাপূজো শেষ। কৈলাসে চললো উমা। মন খারাপ বাঙালির। তবে উমা কৈলাসে পাড়ি দিলেও রেখে গেছেন মেয়ে লক্ষীকে। আর দুইদিন পর কোজাগরী লক্ষী পূর্ণিমা। বাংলার প্রত্যেকটা ঘরেই লক্ষীর আরাধনা হয়। দেবী লক্ষ্মীর ছোট ছোট মাটির প্রতিমা নিয়ে বাজারে বসে গেছেন মৃৎশিল্পীরা। তবে আজকে শুক্রবার সে ভাবে বিক্রি নেই। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের বারদুয়ারির কুমরপাড়ার মৃৎশিল্পী রবি পাল লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে বসেছিলেন বিক্রির জন্য। কিন্তু ক্রেতার দেখা তেমন ভাবে মেলেনি। তবে আশা করছেন আগামী দুই দিনে ভালোভাবে বিক্রি হবে। সারা বছর মাটির কাজ করেই চলে তার সংসার। উৎসবের মরশুমে কিছুটা রোজগার হয়। বছরের অন্যান্য সময়ে আরো সমস্যায় পড়তে হয় সংসার চালাতে। এমনকি প্রতিমা তৈরির জন্য যে মূলধন প্রয়োজন তাও থাকে না সঞ্চয়ে। ধার দেনা করতে হয়। তাই ঠিক ভাবে বিক্রি না হলে আরো সমস্যায় পড়তে হবে এই মৃৎশিল্পীকে বা তার মত আরও মৃৎশিল্পীদের।
রবি পাল বলেন, উৎসবের মরশুম গুলোতে তাও কিছুটা রোজগার হয়। বছরের অন্যান্য সময় মাটির থালা-বাসন কাপ তৈরি করি। সংসারের উপরেই নির্ভর। আজ একদমই বিক্রি হয়নি। তবে আশা করছি আগামী দুই দিন হবে।
সংসারে সুখ সমৃদ্ধি ধন ঐশ্বর্যের জন্য ধনদেবী লক্ষীর আরাধনায় মেতে ওঠে আপামর বাঙালি। তবে সেই দেবী মূর্তির যারা কারিগর তাদের কী আদেও লক্ষী লাভ হবে? এই চিন্তাতেই রয়েছেন রবির মতো অসংখ্য মৃৎশিল্পী।