মা লক্ষ্মী আজ নীরবে নিভৃতে আঁচলে চোখের জল মোছে।

0
225

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  রাত পেরলেই ঘরে ঘরে লক্ষী পুজো। জীবন্ত লক্ষীর কতটা কষ্টে দিন কাটে আমাদের সাংবাদিক আবদুল হাই এর ক্যামেরায় উঠে এল তার সত্য কাহিনী।
মা লক্ষিকে সকাল হলেই বেরিয়ে পড়তে হয় দুয়ারে দুয়ারে কাজ করতে। নিজের পেটের ভাত যোগাড় করতে।
আর কাজ না করলে মিলবে না পয়সা।
পঁচাত্তরের লক্ষী আজ কতটা অসহায়।
আসুন নিজের চোখে দেখে নিন।

আজ বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস থানার গোবিন্দ পুর গ্রামের মা তুলসীর কথা বলবো আপনাদের। ওরফে মা লক্ষ্মী।
তুলসি বাগদি। বয়েস ৭৫. বিধবা।
বাড়িতে বাড়িতে কাজ করার পর জ্বালানি জোগাড় করতে হাঁপিয়ে যায় তুলসী বাগ্দী।
কিছুক্ষন চোখে মুখে মাথায় জল দিয়ে আবার জ্বালানি জোগাড়ের সন্ধানে।
সে অনেকদিন আগেকার কথা।তখন তুলসী বাগ্দীর বয়স পঁচিশ ছাব্বিশ।
অভাবের সংসার।তবুও স্বামী সন্তানে নিয়ে সুখী জীবন।

বিধির বিধান…
হঠাৎ তুলসী বাগ্দীর স্বামী মারা যান।
২৭ বছরের তুলসী বাগদি স্বামীকে হারালেন।
এক মেয়ে এক সন্তান।
আবার নেমে এলো নিদারুণ যন্ত্রণা।
পনেরো বছর বয়সের ছেলে দোলপর্ণীমা দিনে এ পৃথিবী থেকে চলে যায়।
এক মেয়েকে নিয়ে কষ্ট করে জীবনযাপন করতো।
পাঁচ দুয়ারে দিন রাত পরিশ্রম করে কষ্ট করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছে।মেয়ে এখন সুখী । নিজের সংসার সামলে মায়ের খোঁজ
নেয়।আসে সাধ্যমত দেখে মাকে।সাধ্য না থাকার কারণে
ইচ্ছে থাকলেও পারে না মায়ের সেবা যত্ন নিতে দূরে থাকার জন্য।
বিধির বিধান জীবন্ত লক্ষী আজ একা ।পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই।