আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- আমরা যারা মানুষ তারা একে অপরের মনের ভাষা বুঝতে পারি। একে অপরকে স্নেহ, আদর, ভালোবাসায় ভরিয়ে দিই। আমাদের বাড়ির অন্যান্য সকল সদস্যের মতো পশুরাও কিন্তু আমাদের বাড়ির সদস্য। আমরা যেমন পশুদের মনের ভাষা বুঝি, পশুরাও মানুষের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করে। মা, বাবা যেমন তার সন্তানদের আদর করেন, ভালোবেসে চুমু খান। এইরকম এক বিরল পশু প্রেমের দৃষ্টান্ত দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সাপুরা গ্রামে। একটি বাছুর গরু এক গৃহ কর্তাকে পরম স্নেহে আদর করে চুমু খেতে দেখা গেল। এই দৃশ্যটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মহেশ গল্পের কথা মনে করিয়ে দেয়। গফুর যেমন মহেশ নামক একটি গরুকে নিজের সন্তানের মত ভালবাসতো, নিজের খাবার না খেয়ে মহেশকে খাওয়াতো, সেটা আবার মনে করিয়ে দিল। আবার রবি ঠাকুরের সুভা নামক ছোট্ট গল্পে আমরা দেখি সুভা নামের বোবা মেয়েটির একমাত্র আপনজন, বন্ধু শর্বশী এবং পাঙ্গুলী নামের দুটি বাছুর। সুভা এবং বাছুর দুটি একে অপরের মনের ভাষা বুঝত আর গোয়াল ঘরে সুভা পৌঁছালেই সুভার গা চেটে বাছুর দুটি কিছু বলতে চাইতো সুভা ও খুব আদর করে গলা জড়িয়ে তাদের চুমু খেত। ইন্দাস ব্লকের সাপুরা গ্রামের এ ঘটনা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পশু প্রেমের গল্পের কথা মনে করিয়ে দিল।।আমরা যেমন আমাদের বাড়ি সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখি, সেইরকম খুব যত্ন সহকারে বাড়ির মা বোনেরা প্রত্যহ গোয়াল পরিষ্কার করেন। করতেই তো হবে, পশুরা ওর তো তাদের বাড়ির অতি আপনজন, গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যে। তাই ওদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সুস্বাস্থ্য আর খাবারের প্রতি নজর তো দিতেই হবে।