নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়িঃ- চিহ্ন নেই আর অতীতের ব্রাহ্ম সমাজের উপাসনা গৃহের, উঁচু প্রাচীর তুলে জায়গার দখল নিয়েছে আই এম এ, পাড়ার পুজো উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত প্রতিবাদে উত্তাল সমাজ পাড়া।
জলপাইগুড়ি পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পরে সমাজ পাড়া, করলা নদীর পাড়ের এই পাড়ায় একটি ফাঁকা মাঠের এক কোনে মরচে পরা টিনের চালের একটি ঘর দেখেছেন এমন বহু মানুষ আজও বর্তমান। সেই টিনের চালা ঘরটিই ছিলো এই ফাঁকা মাঠটির মালিকপক্ষ ব্রাহ্ম সমাজ কর্তৃপক্ষের উপাসনা ঘর।
এর পর কালের পরিহাসে টিনের চালা ঘর উবে যায়, তৈরী হয় পাকা ভবন, সেখানেই শুরু হয় ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশনের জলপাইগুড়ি শাখার অফিস কার্য।
তবে তাতে কোনো ভাবেই বাধা পায়নি ভবন লাগোয়া ফাঁকা মাঠে সার্বজনীন পুজোর আয়োজন।
এরপরে সেই ফাঁকা জায়গার একটি অংশে নির্মিত হয় মনীষী পঞ্চানন বর্মার পূর্ণবোয় মূর্তি।
তাতেও বাধা পরেনি সমাজ পাড়া বাসির পুজোর আয়োজনের।
তবে এবার দূর্গা পুজোর সময় থেকেই উঁচু প্রাচীর দিয়ে পুজোর জায়গা ঘিরে ফেলে ইন্ডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
সামান্য ফাঁকা জায়গায় সার্বজনীন দূর্গা পুজোর আয়োজন করতে বাধ্য হন সমাজ পাড়ার অধিবাসিরা।
আসন্ন কালী পুজোর প্যান্ডেল নির্মাণ করার ক্ষেত্রেও একই সমস্যার মুখমুখী হয়ে অবশেষে সোমবার বিক্ষোবে ফেটে পরতে দেখা যায় সমাজ পাড়ার আম জনতাকে।
এই প্রসঙ্গে এলাকাবাসী সুরজিৎ সেনগুপ্ত বলেন, ব্রাহ্ম সমাজের মাঠ ছিলো এটি আজ আই এম এ জোর করে আমাদের পুজো করতে বাধা দিচ্ছে বার বার।
চল্লিশ বছর ধরে এই সমাজপাড়ায় বসবাস করে আসছেন তিনি বলেন, এই মাঠ থেকেই সব রাজনৈতিক দল মিছিল, মিটিং শুরু করে, এই মাঠেই বাচ্চারা খেলাধুলা করে, কিন্তু আজ আই এম এ সেক্রেটারি ডাঃ সুশান্ত রায় সরকারি পদে থেকে সেটিকে ব্যাবহার করে বাধা সৃষ্টি করছে এবং গোটা সহরবাসীকে অসম্মান করছেন, আমরা এই বিষয়টি আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও জানাবো।