নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ- মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগাছি সিনিয়র মাদ্রাসা ও চাঁচল থানাঘাটি সিনিয়র মাদ্রাসায় রবিবার ছিল মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচন।এই নিয়ে বাম কংগ্রেস জোট এলাকার অভিভাবকদের নিয়ে একের পর এক ভোট প্রস্তুতি সভা করে চলেছিলেন।৯০ শতাংশ ভোট ছিল বাম কংগ্রেস জোটের পক্ষে বলে দাবি।তৃনমূল কংগ্রেস পরাজয়ের ভয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশকে ঢাল বানিয়ে নির্বাচনের ঠিক দুই দিন আগে ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ জারি করিয়ে সেই নির্ধারিত তারিখের ভোট বানচাল করে দেয় বলে অভিযোগ।তারই বিরুদ্ধে রবিবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন বাম কংগ্রেস জোট।
জানা যায়,এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর শহীদ মোড়ে বাম কংগ্রেস জোটের প্রায় পাঁচ হাজার কর্মী ও সমর্থকেরা জমায়েত হয়।মঞ্চ করে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ।এরপর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা।বাম কংগ্রেস জোটের কয়েকজন নেতা এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত গজমের এর নিকট বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে ডেপুটেশন দেয়।
জোটের অভিযোগ,পুলিশ শাসকদলের দলদাসে পরিনত হয়ে গেছে।তৃনমূল পুলিশকে ঢাল বানিয়ে একেরপর এক অপরাধমূলক কাজ করে চলেছে।পুলিশ সবকিছু জেনেও নিরব রয়েছে।তৃনমূল ও পুলিশের চক্রান্তে এদিনের ভোট বানচাল হয়েছে বলে অভিযোগ।আগামী ত্রী স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে
শাসকদলের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। মাদ্রাসা নির্বাচনে পরাজয়ের আঁচ বুঝতে পেরেই এই কর্মকাণ্ড শাসকদলের।যা পুলিশ তাদেরকে মদত দিয়েছে।দূর্নীতির দায়ে একে একে তৃনমূল নেতা জেলে ঢুকবে।শুধু সময়ের অপেক্ষা।
জোটের দাবি,অবিলম্বে মাদ্রাসার ভোট করাতে হবে।থানা কে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে।মিথ্যা মামলা দিয়ে শাসকদল তাদের যে সমস্ত নেতা কর্মীদের ফাঁসিয়েছে তা অবিলম্বে কেস তুলে নিতে হবে।না হলে তাঁরা আগামীদিনে আরো বড়োসড়ো আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
এদিন উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের পক্ষে প্রাক্তন বিধায়ক মুস্তাক আলম, প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান চৌধুরী, হরিশ্চন্দ্রপুর বিধান সভার যুব কংগ্রেসের যুব সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমান বিহারী বসাক এবং বামের পক্ষে ছিলে বাম নেতা জামিল ফিরদৌস ও সেখ খলিল সহ অন্যান্যরা।