মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাড়িতে থেকেও তারা জেলের সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ডাক পড়লেই ছেলে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসতে হয়। নিজেদের কৃতকর্মের জন্যই মানুষগুলিকে মুক্ত অথচ খুঁটোয় বাধা জীবন পালন করতে হচ্ছে। হ্যা এমনই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরের পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকজন নির্দোষ গ্রামবাসীর উপর। আজ থেকে ৩০ বছর আগে ১৯৯২ সালে পাহাড়পুর নদীর ওপারে একটা খুনের ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে নয়জন নিরিহ মানুষ। তারা জানান ত্রিশ বছর আগে নদীর ওপারে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আমারা
কি হয়েছে তা জানার জন্য ওখানে গেলে আমাদের আসামী বানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা খুনের ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। ২০০৯ সালে ওই মামলায় আদালতের বিচারে আমাদের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হয়। টানা দশ বছর আমরা বহরমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কাটিয়েছি। জেলে দশ বছর কাটানোর পর জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের ব্যবহারে খুশি হয়ে ২০১৯ সালে আমাদের লালগোলা মুক্ত কারাগারে পাঠান। তারপর করোনার সময় সময় আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তবে মাঝেমধ্যে জেলে গিয়ে হাজিরা দিয়ে আসতে হয়। কোন কারণে না জেতে পারলে স্থানীয় থানায় নিয়ে হাজিরা দিয়ে আসতে হয়। কিন্তু এভাবে দূরে কোথাও যেতে পারি না। সাইদুর রহমান, নুরুল ইসলামরা বলেন, আমাদের তো জেলে থাকার কথা সেই যায়গায় বাড়িতে থাকতে পারছি এটাই বড়ো ভাগ্যের ব্যাপার। তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত সকলের আক্ষেপ, কিছু না করেও জীবনের মূল্যবান ত্রিশটা বছর জেলে থাকতে হচ্ছে এটাই বড় কষ্টের।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা নিজেদের কৃতকর্মের জন্যই মানুষগুলিকে মুক্ত অথচ খুঁটোয় বাধা জীবন পালন করতে হচ্ছে।