বর্ধমান শহর রাজনীতি নতুন চমক, পাল্লা ভারী হতে শুরু করেছে বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর।

0
195

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- বর্ধমান শহরের রাজনীতিতে আমরা বারবার দেখেছি বর্ধমান দক্ষিণে তৃণমূলের গোষ্ঠ দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। রাস ভার্সেস দাস অর্থাৎ বিধায়ক খোকন দাস এবং যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার তৃণমূলের এই দুই গোষ্ঠীর সম্পর্কের কথা বর্ধমান শহরের মানুষ সবাই জানেন। তার মধ্যে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ অলক মাঝি কে সরিয়ে পুনরায় দলের তরফ থেকে জেলার যুব সভাপতি করা হয়েছে রাসবিহারী হালদারকে তাতেই যেন গোষ্ঠী কোন্দল যেন আরো প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। ধীরে ধীরে পাল্লা ভারী হতে শুরু হয়েছে বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর। সেই রকমই এক চিত্র উঠে এলো আমাদের ক্যামেরায়। বর্ধমান শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে মঙ্গলবার বর্ধমানের টাউন হল অনুষ্ঠিত হয় বিজয়ার সম্মেলনী অনুষ্ঠান। সেই মঞ্চতেই দেখা যায় বিধায়ক গোষ্ঠীর দুই কাউন্সিলর কে। বর্ধমান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিমরান বাল্মিকী এবং বিধায়ক ঘনিষ্ঠ আইএনটিটিইউসির জেলা প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমদের স্ত্রী তথা বর্ধমান পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেফালী বেগমকে।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার এখানে আমরা দেখিয়েছিলাম যে বর্ধমান শহরে 6 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিমরন বাল্মিক তিনি অভিযোগ করেছিলেন যে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু ঘোষ তাকে ওয়ার্ডে কাজ করতে দিচ্ছেন না। তারপরই নব নিযুক্ত জেলা আইএনটিটিইউসির তৃণমূলের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কে তাদের সাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান। ঠিক তারপরের দিনই বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার বিধায়ক ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সিমরান বাল্মিকী এবং শেফালী বেগম। এর থেকে একটা কথাই বলা যায় তাহলে কি বিধায়কের কাছ থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তারই গোষ্ঠীর লোকেরা আর পাল্লা ভারী হচ্ছে বিধায়ক বিরোধী গোষ্ঠীর।