বাঁকুড়া-ইন্দাস, আব্দুল হাই:- যতই দিন যাচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রতি মানুষের আস্থা ভরসা দিন দিন লোপ পাচ্ছে আর এর অন্যতম কারণ আগেকার দিনের শিক্ষার প্রসারে শিক্ষাক্ষেত্রে শিক্ষকদের যে দায়বদ্ধতা দেখা যেত বর্তমানে তার দেখা যায় না বলেই প্রায়ই অভিযোগ ওঠে অভিভাবকদের তরফ থেকে, অবশ্য কিছু ব্যতিক্রম চিত্রও মাঝে মধ্যেই নিউজ পেপারের হেডলাইন হয় সেরকমই এক চিত্র ধরা পড়লো আমাদের সাংবাদিকের ক্যামেরায়। জানা যায় এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীরা আসার আগেই বিদ্যালয় পৌঁছে যান আর এটা একদিন আধ দিনের ব্যাপার নয়, এমনটাই প্রথম থেকেই হয়ে আসছে বলেই জানান ওই স্কুলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক অভিভাবিকারা।
শুধু অভিভাবক অভিভাবকদের মুখেই নয় এই একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল ঐ স্কুলে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের মুখেও।
স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার সময়
শিক্ষকেরা নাম প্রেজেন্ট করার পর প্রতিদিনই উপস্থিত সংখ্যার সঙ্গে স্কুলের ছাত্র সংখ্যা হিসাব মিলিয়ে দেখেন কোন কোন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত আছে, যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে অনুপস্থিত আছে তাদের প্রত্যেকের বাড়ির অভিভাবক ও অভিভাবিকাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চান ছাত্র বা ছাত্রী কেন বিদ্যালয়ে আসেনি। এমনটা যে একবারে বিরল ঘটনা তা নয় তবে আশ্চর্যজনক ঘটনা।
এদিন যেমন দেখা গেল এক ছাত্র বিদ্যালয়ে আসতে পারেনি বাড়িতে তার বাবা না থাকায়। এ কথা জানার পরেই তৎক্ষণাৎ এক শিক্ষক বাড়িতে গিয়ে ছাত্রকে মোটরবাইকে চাপিয়ে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। এই ঘটনা বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের সিমুলিয়া বাগ্দীপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই দায়বদ্ধতা দেখে মুগ্ধ ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক- অভিভাবিকারা।