নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা :- দশ মাথা, দশ মাথা,দশ পা, মহাকালীর প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা মালদা শহরে।চতুর্দশীর সকালে মৃৎশিল্পীর ঘর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দির পর্যন্ত মাকে নিয়ে যাওয়া হয় শোভাযাত্রা সহকারে।
শোভযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের বাদ্য বাজনার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেন ক্লাব সদস্যরা। সারা শহর পরিক্রমা করে মন্দিরে পৌছায় দেবীপ্রতিমা।
আমাবস্যা নয় চতুর্দশীতে পুরানো রীতি মেনে পূজো হয় মালদা শহরের গঙ্গাবাগ এলাকার দশমাথা মহাকালীর। ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতি ক্লাব কর্তৃপক্ষ এই পুজোর এখন দায়িত্বভার সামলাচ্ছেন। কালীমূর্তিতেও এখানে কিছুটা বিশেষ অর্থ রয়েছে। দেবীর ১০ মাথা, দশ হাত ও ১০ পা রয়েছে। প্রতিমায় শিবের কোন অস্তিত্ব নেই। দেবীর পায়ের তলায় রয়েছে অসুরের কাটা মুন্ডু। প্রতি হাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র।
স্থানীয় প্রবীনদের কথায়, ১৯৩০ সাল, দেশে তখন ইংরেজদের রাজত্ব। ব্রিটিশ শাসকদের সেই অত্যাচার সহ্য করতে পারছিল না বাসিন্দারা। শারীরিক ভাবে নিজেদের সুদৃঢ় করে তুলতে সেই মানুষেরা একটি ব্যায়ামাগার নির্মাণ করেন। একই সঙ্গে নিজেদের মনকে শক্ত করতে শুরু করেন কালীর আরাধনা। শক্তির আরাধনায় তাদের আরাধ্য ছিলেন দশ মাথা মহাকালি। সেই পুজো এখনো হয়ে আসছে। তবে পুড়াটুলি থেকে পুজোর স্থান পরিবর্তন হয়ে এসেছে ইংরেজবাজার শহরের গঙ্গাবাগে। সারা জেলায় এই পুজো ১০ মাথার কালী নামে পরিচিত। চতুর্দশীর দিন ধুমধাম করে পূজিতা হন এই দেবী।
ইংরেজবাজার ব্যায়াম সমিতির সদস্য পাপান চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই এই পুজো প্রথমে অমাবস্যার পরিবর্তে চতুর্দশী তিথিতে অনুষ্ঠান ও পুজো হয়ে আসছে। পাঠা বলি দিয়ে রক্ত উৎসর্গের মাধ্যমে পুজো শুরু হয়। বলির শেষে শোল মাছের টক রান্না করে দেওয়া হয় মাকে। চতুর্দশীর সকালে মৃৎশিল্পীর ঘর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে মন্দির পর্যন্ত মাকে নিয়ে যাওয়া হয় শোভাযাত্রা সহকারে। শোভযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের বাদ্য বাজনার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি পাঁচ দিন ধরে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষের দিন নরনারায়ন সেবা।