পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- আলোর রোশনাই ঝলমল করছে প্রতিটি বাড়ি। কারণ আমাদের ঘরে এসেছেন শ্যামা মা। বিজয় দশমী বিশদে সুরের পর আপামোর বাঙালির আরো এক আনন্দময় উৎসব দীপাবলি। এই দীপাবলি দিনই বাংলার আনাচে কানাচে পুজিত হন শ্যামামা। সেই উপলক্ষে আজ রবিবার বিভিন্ন জায়গায় পুজো মণ্ডপগুলির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেই মর্মে আজ বর্ধমান ২ নম্বর ব্লকের বড়শুল কিশোর সংঘের শ্যামা পুজো শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়ে গেল। এ বছরে তাদের পুজো পদার্পণ করেছে ৩৭ তম বর্ষে। বড়শুল কিশোর সংঘ শুধুমাত্র ক্লাবের গুন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছে। তাদের বিভিন্ন রকম কর্মসূচি ছাপ ফেলেছে মানুষের মনে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শ্যামাপূজা উপলক্ষে ১০০ জন মানুষের হাতে তুলে দেয়া হয় কম্বল। আমরা আগেও দেখেছি শক্তিগড় থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশদের হাতে বড়শুল কিশোর সংঘের উদ্যোগে তুলে দেয়া হয়েছে দুর্ঘটনা জনিত বীমার সার্টিফিকেট। মানুষের মধ্যে থেকে কাজ করে ও নিজেদের এক আলাদা দৃষ্টান্ত তৈরি করে এই ভাবেই এগিয়ে চলুক বড়শুল কিশোর সংঘ। এদিনের পুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক, বর্ধমান মহিলা থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বনানী রায়, বর্ধমান দু’নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৌভিক পান, পঞ্চায়েত সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অরুণ গোলদার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।বড়শুল কিশোর সংঘের সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান, এ বছর আমাদের পুজো ৩৭ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। আজ আমাদের ক্লাবের শ্যামা পূজোর উদ্বোধনীর মধ্যে দিয়ে মানুষের হাতে তুলে দেয়া হলো কম্বল। আমরা আরো এক কর্মসূচি করবো শ্যামা পূজার মধ্যে আগামীকাল আমরা খণ্ডঘোষ থানার সিভিক পুলিশদের হাতে তুলে দেব দুর্ঘটনা জনিত বীমার সার্টিফিকেট।