নদীয়া – মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মুর্শিদাবাদ, রাজ্যের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র তথা ঐতিহাসিক পীঠস্থান। এই জেলার হাজারদুয়ারি, লালবাগ, কাটরা মসজিদ, খোশবাগ সহ একাধিক দর্শনীয় তথা ঐতিহাসিক স্থান আমাদের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা-১ ব্লকের হালালপুর গ্রামের কৃষক রাজেশ পাল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের হেল্পলাইন পরিষেবা ও প্রশিক্ষণে আজ বিশেষভাবে উপকৃত। পরিবারে মোট ৪ জন আছে, পিতা,মাতা ও স্ত্রী। রাজেশ বাবুর বয়স ৩২ বছর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা গ্রাজুয়েট।
মূলতঃ পারিবারিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সারা বছর বিভিন্ন ধরণের সবজি, ধানএবং লেবু চাষের সাথে যুক্ত রাজেশ বাবু। রাজেশ বাবুর মোট ২ বিঘা জমি আছে। লেবু চাষ মূলতঃ প্রথাগত পদ্ধতিতেই করেন এবং প্রায়শঃই রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ার জন্য খুব বেশি লাভবান হতে পারতেন না। কিন্তু ২০২১ সালে রাজেশ বাবু স্থানীয় একটি কৃষক উৎপাদক সংস্থা বা এফ পি ও-র মাধ্যমে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের হেল্পলাইন পরিষেবা ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০ নম্বর এর কথা জানতে পারেন এবং স্থানীয় ঝিনকার গ্রামে একটি গ্রামীণ সচেতনতা শিবিরে যোগদান করেন। পরবর্তী কালে ফাউন্ডেশনের কৃষি সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রোগাম,Whats app group এবং হেল্পলাইন নম্বরে ফোনের মাধ্যমে কৃষি বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে লেবুর রোগের সমস্যা থেকে প্রতিকার পান।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন থেকে উপকৃত রাজেশ বাবু এর আগের বছর ফাউন্ডেশনের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় এক বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে লেবু চাষ করেছিলেন। । উনার ১ বিঘা জমিতে মোট ৪০ টি লেবুর গাছ আছে। আগে যেখানে বিঘা প্রতি লেবুর ফলন হতো ২০০০০-৩০০০০ টি এবং লাভ হতো বছরে ১০০০০/- টাকা থেকে ১৫০০০/- হাজার টাকা, বর্তমানে ফলন হয়েছে ৮০০০০ টি লেবু। তিনি সেই লেবু মরসুমে ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা এবং অন্য সময়ে ৩ টাকা থেকে ৪ টাকাই বিক্রি করেছেনIবর্তমানে মুনাফার পরিমান প্রায় ৩০০০০ টাকা। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তিনি লেবু চাষ করে দ্বিগুন লাভ করেছেন। তিনি ঔ মুনাফা দিয়ে চাষের সুবিধার জন্য় একটা জলের মেশিন এবং একটি স্প্রে মেশিন কিনেছেন
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের পরিষেবায় আজ রাজেশ একজন সফল কৃষক তথা লেবু ব্যবসায়ী। ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমাদের প্রতিনিধির কাছে আশা প্রকাশ করেন যে এভাবেই যেন গ্রাম বাংলার কোনায় কোনায় কৃষক ভাইদের পাশে থেকে তাঁদের জীবন জীবিকা বিকাশে সহায়তা করুক রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন।