দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- দিদি নম্বর ওয়ান বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় শো। টেলিভিশনের এই শো বর্তমানে বিপুল জনপ্রিয়। টেলিভিশনের পর্দায় এই অনুষ্ঠান দেখার পর নিজেকেও দিদি নম্বর ওয়ান-এর সেটে দেখতে চান অনেক মহিলা। কিন্তু কলকাতায় যাওয়ার সুযোগ আর ক’জন পান, তাও আবার বীরভূম জেলা থেকে?? তাই দিদি নম্বর ওয়ান এর মতো এমন মজাদার ও রোমাঞ্চকর কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ইচ্ছেও তাঁদের স্বাভাবিক। তাই তাঁদের কথা মাথায় রেখে কালী পুজো উপলক্ষে বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের রঞ্জনবাজার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দিদি নম্বর ওয়ান-এর ধাঁচে “কে হবে সেরা দিদি” অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ১২ জন মহিলাকে নিয়ে ৬ টি গ্রুপ অংশ নেয়। উল্লেখ্য, অডিশন দিয়েছিলেন ১০০ জন মহিলা। সেই অডিশনে ১২ জন সফল প্রতিযোগিনীরা ফাইনালে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। ৪ টি রাউণ্ডে গান, ধাঁধা, বিভিন্ন মজার ঘরোয়া খেলা ইত্যাদি নিয়ে জমে উঠেছিল অনুষ্ঠানের আসর। প্রতিটি রাউণ্ডে রঞ্জনবাজার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় আকর্ষণীয় পুরস্কার। দুবরাজপুর রঞ্জনবাজারে ২০২২ সালের “কে হবে সেরা দিদি”র ট্রফি ছিনিয়ে নেন শ্রাবণী দে ও প্রিয়া সরকার। পাশাপাশি বিজিত হোন পূর্ণিমা পাল ও সুপর্ণা পাল। বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রবীন দে ও ফকির বাউরী। তাছাড়াও সমস্ত প্রতিযোগিনীদের কিছু পুরস্কার তুলে দেন রঞ্জনবাজার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সদস্যরা। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট শিক্ষক তথা জনপ্রিয় কুইজ মাস্টার সৌমেন মুখার্জী। রঞ্জনবাজার স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সদস্য রিপন দে জানান, কালী পুজোয় বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান থাকে। তাই আমরা অন্যরকম একটি অনুষ্ঠান করার চিন্তা ভাবনা করেছিলাম। কারন বাড়ির মহিলারা সবসময় বাড়িতে কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকে। সেরকম কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পারে না। তাই তাঁদের কথা চিন্তা করে আমরা এই অনুষ্ঠান করলাম। ক্যুইজ মাস্টার সৌমেন মুখার্জী জানান, এই ক্লাবের সদস্যরা যখন আমাকে এই অনুষ্ঠানটা করার জন্য বলেন তখন ভেবেছিলাম সেরকম ভীড় হবে না। কিন্তু দর্শকের যে এত ভালো সাড়া পাবো তা ভাবতেই পারিনি। তবে খুব ভালো লাগল। এই ক্লাবের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আগামী দিনেও যাতে এরকম অনুষ্ঠান করতে পারেন। পাশাপাশি বিজয়ী ও বিজিতরা খুব খুশি।