ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূল কংগ্রেসের।

0
248

পূর্ব বর্ধমান, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীঃ- ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। সেই মরমে বর্ধমান পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করা হচ্ছে। সেই রকমই আজ বর্ধমান পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের দুয়ারে সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছিল বর্ধমানের টাউন হলে। সেই সময় বর্ধমান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর সাথে আর এক গোষ্ঠীর বচসা শুরু হয় এবং পরবর্তীতে হাতাহাতি পর্যন্ত এই ঝামেলা। তখন আর সেখানে উপস্থিত হন বর্ধমান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিঠু সিং সরকার। কাউন্সিলর মিঠু সিং সরকার অভিযোগ করে বলেন, দেখুন আমাদের দলের সবাই ঠিক আছে। যারা আগে বিজেপি করতো তারা জার্সি পাল্টে এখন তৃণমূলে যোগদান করেছে তারাই আমাদের এই পুরনো কর্মীদের মারধর করছে। কারণ তারা চায় না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। অপরদিকে সাত নম্বর ওয়ার্ডে অন্য এক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তিনি বলেন, আমরা সকালবেলা থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছি দুয়ারে সরকারের। আমাদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মাতা সকালবেলা থেকে তার পাত্তা ছিল না। একটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে ছেলেটি চলে যায় তারপর পৌর মাতা এসে উল্টোপাল্টা কথাবার্তা বলে আমরা বলি পরবর্তীকালে এই সমস্যার সমাধান করে দেবো তিনি বলেন না এখুনি এই সমস্যা সমাধান করতে হবে। অপরদিকে যাকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ সেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বাপ্পা ঘোষ বলেন, আমি সকালবেলা থেকেই এখানে মানুষের লক্ষীর ভান্ডারে ফর্ম ফিলাপ করে দিচ্ছিলাম। হঠাৎই এসে আমার সাথে বসচা হয় কাউন্সিলার মিঠু সিং এর হয়ে কাজ করি। গোলাপ দা আমাদের পাড়াতেই থাকে আমি গোলাপ দা কে সম্মান করি হঠাৎ করে এসেই আমাকে এরকম মারধর শুরু করে দেয়। যারা আমাকে মেরেছে তারাও তৃণমূল কংগ্রেস করে এবং আমিও একজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগে সরগরম বর্ধমান শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড।