আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- ঘড়িতে তখন রাত তিনটা ত্রিশ হয়তো অনেকেই শীতের ঘুমে আচ্ছন্ন। আমাদের সাংবাদিক আবদুল হাই পৌঁছে গেল দীনবন্ধু বৈরাগীর বাড়িতে। তারপর বৈষ্ণবীর পিছু পিছু পৌঁছে গেল আমাদের ক্যামেরা । কার্তিক মাসে বিশেষ রীতির কথা না বললেই নয় সেটা হল কার্তিক মাসের ভোরে বৈষ্ণবীয় ভোরাই গান। খুব প্রাচীন রীতিনীতির এই সাধন সঙ্গীত টহল। সেই চল আজও রয়েছে বাঁকুড়া জেলার সিমুলিয়া দশরথবাটি গ্ৰামে। খঞ্জনি হাতে অন্ধকারের ভিতরে সেই গান জাগো গো শ্যামের কমলিনী রাই। পূর্বদিকে চেয়ে দেখ আর নিশি নাই শুনতে শুনতে আধো ঘুমে এলাকার মানুষ প্রহর গুনে এই বুঝি ভোর হয়ে গেল। বাড়িতে বাড়িতে এই ভোরাই গান গাইতে গাইতে হয়ে গেল সকাল। যুগ পরিবর্তন হলেও বঙ্গ সংস্কৃতির অঙ্গ থেকে এখনও উঠে যায়নি এই ভোরাই গান।