আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- রামায়ণ নয় মহাভারত নয়, নয় কোনো পুরনো মহাকাব্যের গল্প, এ যেন এক বাস্তবিক উপাখ্যান, অশরীরিদের আতঙ্কে নাকি গ্রাম ছাড়া সবাই। হ্যাঁ বাঁকুড়া শহর থেকে কিলোমিটার ২০ দূরে অবস্থিত গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের অন্তর্গত চালিডিহি গ্রাম। গ্রামের আয়তন বিশাল না হলেও একটা সময় একসাথে ১৭ থেকে ১৮ টি পরিবার সুখ-দুঃখকে সাথী করে বসবাস করতো। বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলে ঘেরা প্রান্তিক গ্রাম হওয়ায় দিন আনা দিন খাওয়া অস্তিত্বে মানুষগুলো বাস করলেও বেশ হেঁসে খেলে স্বাচ্ছ্যন্দে জীবন কাটাতো তারা। কিন্তু কোন এক রাতের একটিমাত্র ঘটনার জেরে অকাল কালবৈশাখী নেমে আসে তাদের জীবনে। আজ থেকে প্রায় ৬ বছর আগে খুন হয় ওই গ্রামের এক ব্যক্তি। গ্রামের অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় সেই ব্যক্তির মৃতদেহ। এরপর থেকেই বাঁধে বিপত্তি সন্ধ্যা নামলেই নাকি ভূতের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়ায় গ্রামের মানুষজনদের। গ্রামবাসীরা যেটা জানাচ্ছেন সন্ধ্যা নামলেই নাকি গ্রামজুড়ে অলৌকিক ঘটনা ঘটতে থাকে, গ্রামবাসীদের ধারণা এ কোনো অশরীরী আত্মা বা ভূতের কর্ম। এই ভূতের আতঙ্ক গ্রামবাসীদের এতটাই আচ্ছন্ন করেছিল তারা নাকি ভয়ে একের পর এক গ্রাম ছাড়তে শুরু করে ফলে জনশূন্য হয় জঙ্গলে ঘেরা এই চালিডিহি গ্রাম। গ্রামবাসীরা এই গ্রামের অদূরেই বড়জুড়ি নামে এক গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে ভূত! শুনে একবারের জন্যেও আপনি অবাক হতেই পারেন,বিশ্বাস নাও করতে পারেন কিন্তু গ্রামবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী এটাই নাকি সত্যি ঘটনা।পরবর্তীতে প্রশাসন এবং যুক্তিবাদী সমিতির উদ্যোগে দু’তিনটে পরিবার গ্রামে ফিরে আসলেও,বেশিরভাগ আজও গ্রামছাড়া। যে কটা পরিবার এখন বাস করছে তাদের এখনো যেন ভূতের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না।
Home রাজ্য দক্ষিণ বাংলা বিজ্ঞানের যুগে ভুতের আতঙ্কে গ্রামছাড়া সব কটি পরিবার! হ্যাঁ গল্প হলেও সত্যি।