দুবরাজপুর, সেখ ওলি মহম্মদঃ- কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ‘ উত্থান একাদশী নামে পরিচিত। দীপাবলির পরে আসে এই একাদশী। যেহেতু ভগবান বিষ্ণু আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে শয়ন করেন এবং কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে জেগে ওঠেন, তাই এই একাদশী “উত্থান একাদশী” নামে পরিচিত। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই একাদশীর দিনে ভগবান বিষ্ণু ৪ মাস ঘুমানাের পরে জেগে ওঠেন। এই চার মাসে কোন শুভ কাজ করা হয় না। এই দেবােত্থান একাদশীর পর থেকে শ্রীহরি জেগে উঠলে সমস্ত ধর্মীয় ও শুভ কাজ শুরু হয়। প্রতি বছর কার্তিক মাসে শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে শালেগ্রাম এবং মা তুলসীর বিয়ে হয় এবং এটি উত্থান একাদশী বা অন্য কোথাও দেব উত্থান নামেও পরিচিত। তাই গতকাল সন্ধ্যায় বীরভূম জেলার দুবরাজপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চ্যাটার্জিপাড়ায় এই উত্থান একাদশী পুজো করা হয়। এখানে আনুমানিক ৩০০ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে বলে জানান প্রবীণ সদস্যা উমারাণী পাণ্ডে। এই পুজো আগে উমা রানী পাণ্ডের পুরনো বাড়িতে হত। কিন্তু বিগত ৪০ বছর ধরে তাঁদের নতুন বাড়িতে হয়। এই পুজো খুব জাঁকজমক ভাবে করা হয় পাণ্ডে পরিবারের বাড়িতে। রয়েছে একটি নারায়ণ মন্দির। উত্থান একাদশী পুজোয় দুবরাজপুরের একাধিক পাড়ার মানুষজন আসেন বলে জানান অসীম কুমার পাণ্ডে। পুজো উপলক্ষে সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।