জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের গ্র্যাফ নামছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের । ডেঙ্গি সংক্রমণ খানিকটা কমলেও চোখ রাঙাচ্ছে স্ক্রাবটাইফাস। চলতি বছরে ইতিমধ্যেই স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের । এখনও পর্যন্ত জেলায় স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। জলপাইগুড়ি শহরের রাজবাড়ি পাড়ার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে শহরের এক মহিলার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় স্ক্রাবটাইফাস ধরা পড়েছে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরে অ্যালাইজা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে বলে নার্সিংহোম সূত্রে জানানো হয়েছে। বিকেলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার স্ক্রাবটাইফাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের, জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত সাড়ে তিন হাজার ছুঁতে চলেছে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, গত দু’সপ্তাহে জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৪০ – ৪৫ জন কমেছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এখনও সব ধরনের সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের ।
অন্যদিকে, স্ক্রাবটাইফাস প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্ক্রাবটাইফাস এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ । চিগার বা একধরনের মাইট (ক্ষুদ্র পোকা) র কামড়ে সংক্রামিত হয় এই রোগ ।
সাধারণত ওই পোকা কামড়ানোর পর চামড়ার উপর গাঢ় লাল কামড়ের চিহ্ন দেখা যায়। জ্বর, মাথা ও গায়ে ব্যাথা হয়। বমি বমি ভাব। মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। শারীরিক একাধিক অঙ্গ বিকল ও অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ও ইঞ্জেকশন। এই রোগ প্রতিরোধের কোনও ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত নেই ।
বেসরকারি নার্সিংহোমের ভারপ্রাপ্ত প্রধান চিকিৎসক সুমন্ত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্ক্রাবটাইফাসে আক্রান্ত মহিলার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে । প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে । জেলা স্বাস্থ্য দফতরে রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে।”
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন, “ডেঙ্গি পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্ক্রাবটাইফাস নিয়েও জেলায় সচেতনতা বাড়াতে প্রচার চালানো হবে। “