রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণে ও প্রশিক্ষণ পরবর্তী পরিষেবায় উপকৃত বীরভূম নিবাসী কৃষক।

0
466

বীরভূম, নিজস্ব সংবাদদাতা:- তপন ঘোষ (৪৯) বোলপুর শ্রীনিকেতন এর অন্তর্গত বিষ্ণুবাটি গ্রামের বর্ধিষ্ণু কৃষক। স্নাতক উত্তীর্ণ হওয়ার পর তপন বাবু পারিবারিক চাষের কাজেই যুক্ত হয় পড়েন। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর তিনি চাষের সাথে, বিশেষ করে বাণিজ্যিকভাবে ধান উৎপাদনে যুক্ত। ৮-সদস্য বিশিষ্ট পরিবারটির জীবিকা সম্পূর্ণভাবেই চাষের উপর নির্ভরশীল। যৌথ পরিবারের সদস্য তপন বাবুর চার ভাই, মোট কৃষি জমির পরিমান প্রায় ১৩.৩৩ একর, এর মধ্যে তপন বাবুর অংশ ৩.৩৩ একর। এই জমিতে সারা বছরই ধান চাষ করেন। প্রায়শঃই ধান গাছে পোকার প্রাদুর্ভাব ঘটে। স্থানীয় বাজার থেকে ওষুধ এনেই চেষ্টা করেন এই সমস্যা মেটানোর – কিন্তু কখনো সফল হন, কখনো উপকার পান না। এই পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের খরিফ মরশুমে তপন বাবুর প্রায় ১.৬৬ একর জমিতে হঠাৎই আগাছার আক্রমণ ঘটে এবং ধান চাষে ব্যাহত হয়। এমতাবস্থায় তপন বাবু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর হেল্পলাইন লাইন নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য পরিষেবার কথা জানতে পারেন বোলপুরের রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে। পরবর্তীকালে ফাউন্ডেশন এর কর্মী মৃনাল কান্তি মন্ডলের প্রচেষ্টায় ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখে কৃষির উপর একটি মাল্টি লোকেশন অডিও কনফারেন্স প্রোগামে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। এই কনফারেন্সে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রথীন্দ্র কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানী। তপন বাবুর কাছ থেকে সমস্যার প্রকৃতি জেনে বিশেষজ্ঞ নির্দিষ্ট ওষুধ এবং খেত এর তদারকির জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর প্রশিক্ষণ পরবর্তী সহায়তায় কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধও সংগ্রহ করেন তপন বাবু। ওষুধ প্রয়োগের এক সপ্তাহের মধ্যেই ধীরে ধীরে আগাছার বিলুপ্তি ঘটে এবং ধানের ক্ষেত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। সেই মরশুমে তপন বাবু এই ১.৬৬ একর, আগাছা আক্রান্ত জমি থেকে প্রায় ২ টন ৪ কুইন্টাল ধান উৎপাদন করেন, বিক্রয় মূল্য ৪৫৬০০ টাকা । তপন বাবুর কথা অনুসারে তিনি যদি রিলায়ন্সের ফাউন্ডের পরামর্শ না পেতেন,তাহলে তার ফসল অর্ধেক হয়ে যেতো এবং ২২৮০০ টাকা লোকসান হতো এবং তিনি আর্থিক সংকতে পরতেন, যার ফলে তার সংসার চালাতে সমস্যা হতো।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণে অর্জিত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ পরবর্তী সহায়তায় উপকৃত তপন বাবু বলেন “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের গ্রাম বাংলার কৃষকরা সঠিক সময় সঠিক তথ্য ও চিকিৎসার পরিষেবা পাই না, কিন্তু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আমরা এখন ঘরে বসেই মোবাইলের মাধ্যমেই বিশেষজ্ঞদের সাথে ফোনালাপ করে সমস্যার সমাধান মেটাতে পারছি। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন পরিবারের সদস্যদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই “।