চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষে এক নম্বরে রয়েছে পাঁশকুড়া,ভির ফুল প্রেমীদের।

0
406

পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষে এক নম্বরে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া শহর,পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী জানাবার উত্তরপলসা দোকান্ডা সহ একাধিক এলাকায় শীতকালীন ফুল হিসেবে চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়। কখনো হলুদ চন্দ্রমল্লিকা কখনো জিরাট বা সাদা মল্লিকা চাষ করে থাকে চাষিরা। তবে শুধু জল বা সার দিয়ে এই ফুলের চাষ হয় না তার পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিদ্যুতের মাধ্যমে ল্যাম্প জেলে এই চারা গাছকে বড় করে তোলা হয় এই চাষ। সঠিক সময়ে গাছের গ্রোথ আনার জন্যই বিদ্যুতের পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। চাষিরা সঠিক সময় চন্দ্রমল্লিকা চাষের জমিতে রাতের বেলায় একাধিক ল্যাম্প জ্বেলে চন্দ্রমল্লিকা গাছ ধীরে ধীরে বড় করে তোলে। এই চাষের পিছনে বিঘা প্রতি প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা করে ব্যয় করেন এলাকার চাষিরা। ফুল ফোটার পর এই চন্দ্রমল্লিকা দূর দূরান্ত দেশে রপ্তানি করা হয়। সেখানে চাষিরা লক্ষ লক্ষ টাকা লাভ পেয়ে থাকে। তবে এই বছর পাঁশকুড়ার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে ব্যাপক পরিমাণে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়েছে। যে কারণে এক প্রকার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। মল্লিকা চাষে যে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় তাতে ইলেকট্রিক বিলও দিতে হয় চাষীদের। বিশেষ ভাবে সাদা রংয়ের বাল্ব জ্বলতে দেখা যায় মাঠের পর মাঠ চাষের জমিতে। রাতের সৌন্দর্য দেখলে মনে হয় এযেন এক চাষের মেলা। তবে পাঁশকুড়া এলাকায় এই ফুলের চাষ দেখতে বহু দূর দুরান্ত থেকে ফুলপ্রেমীরা এসে থাকেন।