জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- তৃণমূল নেতাদের সুপারিশে অযোগ্য মানুষদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়েছে। কাটমানির বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে তাদের। অথচ যারা যোগ্য চাকরি প্রার্থী তাদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়নি বলে অভিযোগ।
সোমবার জলপাইগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।
তিনি জানান, ২০১৬ সালে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া গোপের সুপারিশে তিনজনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জেলার রাজনৈতিক মহলে হইচই শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে ভাইরাল হয়েছিল জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মহুয়া গোপের একটি সুপারিশপত্র। সেই পত্রে দেখা যায় তৎকালীন ক্রান্তি ব্লক তৃণমূলের একটি প্যাডে তিনজন প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীর নাম। লেটারপ্যাডের শুরুতে ফর প্রাইমারি লেখা রয়েছে৷ এরপর সিরিয়ালি তিনজন চাকরি প্রার্থীর নাম রয়েছে। সেই তিনজন হলেন অতনু দাস, স্বপনকুমার বিশ্বাস ও ইভানা পারভিন। এরপর ভেনু হিসেবে লেখা রয়েছে ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়ের নাম। রয়েছে তারিখ ও সময়। প্যাডের নিচে সিল সহ সই রয়েছে তৎকালীন ক্রান্তি ব্লক তৃণমূল ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট মহুয়া গোপের। জানা গেছে এই সুপারিশ পত্র ইন্টারভিউর ৫ দিনে আগে দেওয়া হয়েছিল। নামের তালিকাতে দেখা যায় মহুয়া গোপ যে তিনজনের নামে সুপারিশ করেছিলেন। সেই তিনজনই টেট পাশ করেছিলেন। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম মহুয়া গোপের সুপারিশে তিনজন চাকরি পেয়েছেন। টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে।
Home রাজ্য উত্তর বাংলা জলপাইগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী।