মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ব্লকের পোল্লাডাঙ্গা গ্রামের মৎস্য চাষী মধ্যে ত্রিশের মুজাক্কির শেখ দীর্ঘ দেড় দশক ধরে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের সাথে যুক্ত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর দারিদ্রের কারণে আর পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন নি মুজাক্কির, জীবিকার তাগিদে যুক্ত হন পারিবারিক মৎস্য চাষের সাথে। বর্তমানে পাঁচ সদস্যের পরিবারটির জীবন-জীবিকা মৎস্য চাষের উপরেই নির্ভরশীল। মূলতঃ ১৮ বিঘা পারিবারিক পুকুরেই মৎস্য চাষ করেন মুজাক্কির, কিন্তু মূলতঃ প্রথাগত পদ্ধতিতেই চাষ করার ফলে লাভের পরিমান পরিশ্রম ও পুঁজি বিনিয়োগের তুলনায় খুব বেশি হতো না।
ঘটনাচক্রে গ্রামের একজন কৃষকের কাছ থেকে মুজাক্কির রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর হেল্পলাইন পরিষেবা ১৮০০৪১৯৮৮০০ নম্বরের কথা জানতে পারেন এবং পরবর্তীকালে ২০২১ সালে একটি গ্রামীণ সচেতনতা শিবিরে অংশ নেন। এই শিবির থেকেই হেল্পলাইন ছাড়াও অন্যান্য তথ্য পরিষেবার বিস্তারিত জানতে পারেন মুজাক্কির। ফলস্বরূপ, পরবর্তীকালে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর মৎস্য চাষের হোয়াটস্যাপ গ্রুপ এবং হেল্পলাইন নাম্বারের মাধ্যমে মৎস্য বিশেষজ্ঞের সাথে নিয়মিত আধুনিক মৎস্য চাষের তথ্য বিনিময় করতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞের সুপারিশমতো পুকুরের চারপাশে ফাঁকা জমিতে সবজি চাষ ও নারকেল গাছ রোপণ করেন এবং আর্থিকভাবে উপকৃত হন। বিগত একবছরে এই মিশ্র চাষ থেকে অতিরিক্ত প্রায় ৫০,০০০/- টাকা উপার্জন করেন মুজাক্কির। মুজাক্কির বাবুর কথামতো, তিনি প্রথাগত পদ্ধতিতে ৫০০০০ লাভ টাকা করতেন মাছ চাষ থেকে কিন্তু রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর তথ্য পরিসেবার মাধ্যমে লাভের পরিমান হয় ৯০০০০ টাকা এবং পুকুর পারে মিশ্র চাষ করে প্রায় ২০০০০ টাকা লাভ করে।রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনে যুক্ত হবার পর তিনি মোট ৬০০০০ টাকা লাভ করেন এবং পুরো লাভের টাকাটা মাছের ব্যবসাতে লাগিয়েছেন I এখন স্বপ্ন একটি ছাগলের ফার্ম করার।
রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর জীবিকা বিকাশ প্রকল্পে উপকৃত মুজাক্কির এর কথায় ” আমাদের গ্রাম বাংলার কৃষকদের কাছে আধুনিক প্রশিক্ষণের বিষয়গুলি একেবারেই অধরা। ফলে যে পরিমান পরিশ্রম আমরা করি, সেই তুলনায় লাভের পরিমান বেশ কম। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এর এই প্রশিক্ষণ থেকে আমরা এখন ঘরে বসেই মোবাইল এর মাধ্যমে আধুনিক মৎস্য চাষের খুঁটিনাটি বিষয়গুলি রপ্ত করতে পারছি। শুধু তাই নয়, চালু ব্যবসার আয়তন বাড়িয়েও কিভাবে অতিরিক্ত উপার্জন করা যায়, সেই পথও দেখাচ্ছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ” ।