পূর্ব মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- অবশেষে খোঁজ মিললো কন্যার ! পুলিশি তৎপরতায় অবসান হলো অপহরণের অভিযোগ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার সাব ইন্সপেক্টর চন্দন মাইতি প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলেই। জানা গিয়েছে ২০ শে অক্টবর থানায় একটি মিশিং ডায়েরি করেন নিখোঁজ কন্যা স্মৃতিকণা দাসের পরিবার। তারপরেই সক্রিয় হয় ময়না থানার পুলিশ। মেয়েটির বাবা স্বপনকুমার দাস, অভিযোগ করেন মেয়ের কিডন্যাপের ব্যাপারে। দুই বছর আগেও একবার মেয়ে পালানোর চেষ্টা করে বলে জানান। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই সন্দেহের তীর যায় প্রথম প্রেমিকের দিকে। তবে সেবারে মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়ার বাড়িতে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এবারেও একই ঘটনা ঘটলে পুনরায় সন্দেহের তীর যায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় মেয়ের মা জয়ন্তী দাস ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়লে থানায় দ্বারস্থ হয় পরিবার। জানা যায় মেয়েটি ও তার প্রেমিক রহনা দেয় মুম্বইয়ের মালাটে। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ প্রথমে হানা দেয় ওই শহরে, তবে খোঁজ মেলেনি সেখানে। অবশেষে আন্দেরি নামের এক এলাকার বস্তি থেকে উদ্ধার করা হয় দুজনকে। আন্দেরির ফাঁকা ফ্ল্যাট এলাকা থেকেই আটক করা হয় প্রেমিক সহ মেয়েটিকে। ঘটনায় প্রশংসনীয় পুলিশি তৎপরতার খুশি সকলেই। জানা যায়, যেহেতু মেয়েটি এখনও অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই নিয়মানুযায়ী কোর্টে তোলার আগেই করা হবে মেডিকেল টেস্ট। পুলিশ সূত্রে খবর আপাতত অভিযুক্ত প্রেমিককে তোলা হবে তমলুক কোর্টে। পরে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বদল হবে পদক্ষেপে।